ফের আইসিইউ সংকটে দেশ!

প্রকাশিত: ০৯ জুলাই, ২০২১ ১২:৫৭:২৯

ফের আইসিইউ সংকটে দেশ!


সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালের সাধারণ শয্যা এবং দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়। আইসিইউ বেড যেগুলো রয়েছে সেগুলো খুব দ্রুত ফিল-আপ হয়ে যাচ্ছে। গত এক থেকে দুই সপ্তাহ আগেও সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেড খালি থাকলেও সেটা এখন আর খালি থাকছে না। একইসঙ্গে দ্রুত পূরণ হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেডের সংখ্যা। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত ৫ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড পাঁচ সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি ছিল না। আটটিটি বড় সরকারি হাসপাতলের কোনোটির বেড খালি ছিল না। ৮ জুলা ‘র তথ্য মতে, রাজধানী ঢাকায় ১৬টি সরকারি করোনা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬ বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে। সবমিলিয়ে এই ১৬ হাসপাতালের ৩৯৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৯৯টি বেড।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা রোগীদের শতকরা ৮০ শতাংশের মধ্যে মৃদু লক্ষণ দেখা দেয়। তাদের হাসপাতালে যেতে হয় না। ১৫ শতাংশের উপসর্গ তীব্র হয় ও হাসপাতালে যেতে হয়। ৫ শতাংশের অবস্থা হয় গুরুতর। তাদের আইসিইউর পাশাপাশি দরকার হয় ভেন্টিলেটরেরও। কিন্তু এবারে দেশে সামাজিক সংক্রমণ ঘটানো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আগের যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে শক্তিশালী। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত বছরের চেয়ে এবার আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হারও বেড়েছে অনেক বেশি তীব্রতা নিয়ে।

গত ৭ জুলাই অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সংক্রমণের উচ্চমুখী এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, জুলাইয়ে রোগী সংখ্যা এপ্রিল ও জুন মাসকে ছাড়িয়ে যাবে। লকডাউন বা বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবো।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন গত বছর। কিন্তু এক বছর পরেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রতিপালন করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ জটিল রোগীদের যদি সঠিক সময়ে আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা যেতো তাহলে একদিনে মৃত্যু ২০০ পার হতো না, মৃত্যুর এত রেকর্ড হতো না। কিছু না কিছু মৃত্যু কমতো।

এই মুহূর্তে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ শয্যার আইসিইউ খালি নেই জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সব বেডেই রোগী ভর্তি থাকছে, যার কারণে অপেক্ষায় থাকতে হয় অন্যদের। কেবলমাত্র রোগীরা যদি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন অথবা কোনও মৃত্যু হলে সেই বেডটাই খালি হচ্ছে, তখন অন্য রোগীকে সে বেডে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন আগে আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৩ বেডের আইসিইউ ইউনিট পুনরায় আগামী ঈদের আগে চালু করা হচ্ছে। সেটা হলে বর্তমান ২০ বেডের সঙ্গে যোগ হবে আরও ১৩টি বেড। এই বেড গুলো ঈদের আগেই চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, তখন এখনকার অবস্থার চেয়ে পরিস্থিতি আরেকটু ভালো হবে, বাইরের রোগী নেওয়ার সুযোগ হবে।#

প্রজন্মনিউজ২৪/ফাহাদ
 

এ সম্পর্কিত খবর

ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭ কেএনএফ সদস্য কারাগারে

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফরের কারণ কী

খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে তা সর্বজনবিদিত

দক্ষিণ লেবাননে ফসফরাস বোমা হামলার কারণ জানালো ইসরায়েল

হাতিয়াতে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস-চেয়ারম্যান

‘নিজের জীবন নিয়ে খুব ভয় হয়’, সড়কে অবস্থান নেয়া স্কুলশিক্ষার্থী

টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, গ্রামাঞ্চলে খাবার পানির তীব্র সংকট

দায়িত্বের কাছে হার মেনেছে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ