প্রকাশিত: ২৬ জুন, ২০২১ ০১:৪৬:২৭ || পরিবর্তিত: ২৬ জুন, ২০২১ ০১:৪৬:২৭
আতা আমাদের পরিচিত একটি ফল। এই ফলের গাছটি বসতবাড়ির আঙিনায়, ঝোপঝাঁড়ে সহজেই জন্মে থাকে। এই ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আতা ফলের অবিশ্বাস্য সব গুণগুলো:
পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০ গ্রাম আতা ফলে পাওয়া যাবে শর্করা ২৫ গ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম,পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম।
উপকারিতা:
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে: খাবারের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে আতা ফলে থাকা ফসফরাস উপকারী ভূমিকা পালন করে। এর খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা তারা এই আতা ফল খেলে অনেক উপকার পাবেন।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: আতাফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি আছে। আর এই ভিটামিন উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। সে ক্ষেত্রে আতা ফল অনেক সহায়ক। যাদের চোখের সমস্যা তারা আতা ফল খাবেন, এতে আপনার চোখের উপকার হবে।
হাড় মজবুত করতে: আতা ফলে প্রচুর ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। আর শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম সরবারহ করতে সক্ষম এই আতা ফলটি। তাই হাড় মজবুত করতে আতা ফল খাওয়া উচিত।
আমাশয়ে: আতা গাছের মূলের ছালের রস ২০/২৫ ফোঁটা ৭/৮ চা চামচ দুধ সহ খেতে হবে, তবে ছাগলের দুধ হলে ভাল হয়। আথবা আতা গাছের মূলের ছাল চূর্ণ ২০০ মিলিগ্রাম একবার বা দুইবার খেতে হবে। এর দ্বারা ২/৩ দিনের মধ্যে আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
চুল ও ত্বকের যত্নে: আতা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা একটি উন্নতমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকে বার্ধক্য বিলম্বিত করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
রক্তে নিস্তেজ ভাব কমে গেলে: ঠাণ্ডার কোনো ব্যধি না থাকলে তাহলে পাকা আতা ফলের শাঁসের রস ২/৩ চা চামচ করে সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে রক্তের নিস্তেজ ভাবটা সেরে যায়। আবার যদি রস করা সম্ভব না হয় তাহলে পাকা আতা এমনি খেলেই চলবে।
হৃৎপিণ্ডের রোগ প্রতিরোধে: আতা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
খনিজ পদার্থ সমূহ সরবরাহে: আতা ফল শরীরের ডিএনএ ও আরএনএ সংশ্লেষণ, শক্তি উৎপাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহ করে থাকে।
রক্তপিত্তজনিত দাহরোগে: আতা ফলের শাঁসের রস রক্তের শক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অল্প রক্তচাপের কারণে মাঝে মাঝে বমির সংগে রক্ত বের হয় আবার বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক মনে হয়, আবার কারো কারো আগ্নির বলও থাকেনা। এ ক্ষেত্রে পাকা আতার রস ২/৩ চা চামচ করে খাওয়ালে সেরে যাবে।কারো কারো দেহে সর্বোদা একটা দাহ ভাব আসে তাদের জন্য আতাফল খেলে সেটাও চলে যাবে।
রোগ-প্রতিরোধে: আতাফলে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুরারোগ্য ব্যাধিকে তাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়া আতা ফলের খাদ্য উপাদান এনিমিয়া প্রতিরোধ করে থাকে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এমবি
বৃহত্তম ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
৪৭ জনকে বৃত্তি প্রদান ও ৪ গুণীজনকে সম্মাননা
বিশ্বসেরা তারকা থাকার পরেও বেঙ্গালুরু কোন শিরোপা না জেতার কারন জানালেন ভন
প্রতিবছর গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের একই নৈরাজ্য
নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় প্রশাসনের সাথে সচেতনতাও জরুরি
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন- অপি করিম
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি সেকালে না উঠলেও একালে উঠছে কেন?
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন : চবি উপাচার্য