বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২৩ জুন, ২০২১ ১২:১২:১৮ || পরিবর্তিত: ২৩ জুন, ২০২১ ১২:১২:১৮

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে দলের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও লক্ষ্যপূরণে অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় সম্পর্কে জানান তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আজ থেকে ৭২ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ছিল একটা লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। আজকে ভাবতে ভালো লাগে- বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি উপলব্ধি করেছিলেন, পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয় নাই। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদের হতে হবে। সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। তিনি প্রথমে নিজেকে, তারপর দেশকে, তারপর তার যে নীতি-আদর্শ, সেটাকে প্রস্তুত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনে অনেকবার, প্রায় ১৩ বছর কারাভোগ করেছেন। কিন্তু কোনোদিন মাথা নত করেন নাই। তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড আরম্ভ করেছিলেন, সেই লক্ষ্য তিনি পূরণ করে গেছেন। সেই লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা; জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করেছি।

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা পড়লে বোঝা যায়, কত কষ্ট করেছেন তিনি এই দলের জন্য। মন্ত্রিত্বের জন্য মানুষ ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। আবার ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পর যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন, তখন তিনি আবার আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকেছেন। আর চার নেতার অন্যতম কামারুজ্জামানকে (শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান) সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে (সাবেক রাষ্ট্রপতি) সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন।

তোফায়েল বলেন, ধাপে ধাপে ছাত্রলীগের যারা নেতা ছিল, তারা আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়েছেন। সুতরাং রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে নাই, এ কথা বলা এখন খুব কঠিন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ করেছিলেনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে থাকতাম। তার স্নেহধন্য আমার জীবন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছিলেন, পাকিস্তান কাঠামোর মধ্য দিয়ে বাঙালির মুক্তি আসবে না। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদেরকে হতে হবে।” সে লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘দুটি স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর। একটা স্বাধীনতা, আরেকটি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। একটি তিনি করে গেছেন। আরেকটি করতে যখন শুরু করেছিলেন; তখনই (১৯৭৫ সালের) ১৫ আগস্ট সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। জ্যেষ্ঠ কন্যা ও কনিষ্ঠ কন্যা বিদেশে ছিলেন। ৮১-তে জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে আমরা আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ৪০ বছর দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হবে।

সূত্র: জাগো নিউজ

প্রজন্মনিউজ২৪/শাওন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ