প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২১ ০৬:৪২:৩৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে দুইজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে করোনায় প্রথম ঢেউয়ে ১৪ জন মারা গেছেন এবং বাকিরা মারা গেছেন দ্বিতীয় ঢেউয়ে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ৭২ বেডের করোনা ওয়ার্ডে ৭২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৩৩৯৬ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। আর ২০১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন না করায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। এতে করে নমুনা পাঠানোর পর রিপোর্টের জন্য ৪ থেকে ৮দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় আক্রান্তরা করোনা উপসর্গ নিয়েই বাইরে চলাফেরা করছেন। এতে করে অন্যরাও সংক্রমতি হচ্ছেন। ফলে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন জেলার শহরগুলো ছাড়াও গ্রামে এ ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। এমন অবস্থায় জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাবসহ আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালের শেষের দিকে ৮তলা নতুন ভবনে আড়াইশ শয্যার জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্ত আড়াই’শ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে আগের এক’শ শয্যার জনবল দিয়ে।
এ প্রসঙ্গে জেলা স্বাচিপ সভাপতি ও বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে হারে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে দ্রুত আরটিপিসিআর ল্যাব, আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। জেলায় আরটিপিসিআর ল্যাব না থাকায় নমুনা দেওয়ার পর বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে রিপোর্টের জন্য। ফলে শনাক্ত রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া নমুনা দেওয়ার পর তারা যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর কারণে অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, অপরদিকে জেলায় আইসিইউ ও সিসিইউ ইউনিট না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের রাজশাহী পাঠানো হচ্ছে এবং তারা সেখানে মৃত্যুবরণ করছেন। এতে করে মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব, আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জেলা হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনিমুল হক বলেন, জেলা হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সমস্যা নেই। কারণ, সরকার ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্নজন প্রায় ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছেন। পাশাপাশি সেন্ট্রাল অক্সিজেন ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। তবে আরটিসিআর ল্যাব, আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে জরুরিভিত্তিতে আরটিসিআর ল্যাব, আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপন করা হবে।
এএআই
সিলেটে পুলিশের অভিযানে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ২
ঢাবির ২৩-২৪ সেশনে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের কর্ণধার নূর মোহাম্মদ আবু তাহের গ্রেপ্তার
ঢাবির চারুকলা ইউনিটে পাশের হার ১১.৭৫ শতাংশ
পেট থেকে জীবন্ত মাছ বের করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন সেই ডাক্তার
নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
ড.ইউনুসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য মানহানিকর : আইনজীবী
বাংলা কলেজের ছাত্র না হয়েও তারা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি