ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা

প্রকাশিত: ১৯ জুন, ২০২১ ১২:৩৭:০১ || পরিবর্তিত: ১৯ জুন, ২০২১ ১২:৩৭:০১

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা

মৌসুমি বায়ুর দেশে বৃষ্টিপাতে বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের প্রবণতাও। ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আগামী রোববার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে। শনিবার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ১৬৬ মিলিমিটার। তবে বিভাগ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রামে। এ অঞ্চলের অনেক স্থানে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। টেকনাফে ১৬৩ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১১১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ১০৪ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ৯৫ মিলিমিটার ও কুতুবদিয়ায় ৭৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া অন্য স্থানেও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হয়েছে। ঢাকায় বর্ষণ হয়েছে ২২ মিলিমিটার।

এদিকে রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।#

প্রজন্মনিউজ২৪/ফাহাদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ