প্রকাশিত: ১৮ জুন, ২০২১ ০৪:০০:১১ || পরিবর্তিত: ১৮ জুন, ২০২১ ০৪:০০:১১
অনেকের মনে প্রশ্ন পরীমনি হয়তো মদ খেয়েই বেঁচে থাকেন? সারি সারি সাজানো আছে বিশ্বের অনেক দামী ব্র্যান্ডের মদের বোতল। আসলে এটাকে মদের বার মনে করলেও সেখানে থাকেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি।
বনানী ১৯/এ সড়কের ১২ নম্বর বাড়ির পাঁচতলায় থাকেন চিত্রনায়িকা পরিমনি। সেই বাসায় রয়েছে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের মদের বোতল। প্রথম পলকেই কোনো পশ্চিমা দেশের কোনো বিলাসবহুল বার মনে হতে পারে কারো। এ বাসায় নিয়মিত বসে মদের আসর। আর সারারাত চলে পার্টি ও গান-বাজনা।
এদিকে ১৩ জুন রাতে ধর্ষণচচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন পরিমনি। কয়েকজন সাংবাদিক পরিমনির বাসায় একই অবস্থা দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। সেখানে যাওয়া বেশিরভাগ সাংবাদিকরাই বিনোদন বিটের ছিলেন।
তারা জানান, পরীমনির বাসাতে ঢুকে শুরুতেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যান সাংবাদিকরা। পরীমনির বাসার ঠিকানা ভুল করে কি কোনো বারে ঢুকে পড়েছেন সেই চিন্তাও তারা করেছিলেন।
সেই বাসার ড্রইংরুমে ঢুকতেই হাতের বাম পাশে দেখা যায় কাচঘেরা বিশাল একটি ঘর। স্বচ্ছ কাচে ঘেরা রুমটিতে সারি সারি বিদেশি ব্রান্ডের মদের বোতল দিয়ে সাজানো। সুন্দর ডেকোরেশনের নানা সাইজের র্যাকে সারি সারি বোতল দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছু বোতল কাত করে শুইয়ে রাখা হয়েছে। ছোট ছোট টেবিলের ওপরও রাখা হয়েছে বোতল।
অন্যদিকে বেশ কয়েকটি কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের কর্মকর্তারা পুলিশকে জানান, মধ্যরাতে নিয়ম ভেঙে পরীমনির জন্য বার খোলা রাখতে হয়। সেটি তার জন্য নিয়মিত ব্যাপার। বোট ক্লাব-কাণ্ডের আগের রাতে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে ঢোকেন পরীমনি। মধ্যরাতে সেখানে তিনি ভাঙচুরও করেন।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৮ জুন বুধবার রাতে বোট ক্লাবে পরীমনি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হচ্ছে। তার ব্যাপারে জানাতে ঢাকার একাধিক সোশাল ক্লাবের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তারা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জানান, পরীমনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন তরুণ-তরুণী নিয়ে প্রায় রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। মধ্যরাত পর্যন্ত করতেন মদ্যপান। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পরে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।
গুলশান পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ৩ জুন রাত ১২টার পর পরীমনি তার সাবেক বাগদত্তা তামিম হাসান ও দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুজন কর্মকর্তা পরিচয়ধারীকে নিয়ে গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবে যান। তখন তারা মদ্যপ ছিলেন। ক্লাবে ঢুকে পরীমনি ও অন্যরা বার ব্যবহার করতে চান। বার বয় জালাল অসম্মতি জানালে পরীমনি তার গালে চড় মারেন। ক্লাব কর্মকর্তারা বেসামাল আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি নিজেই পুলিশে কল করেন। গুলশান থানা পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান সেখানে যায়। পরে তারা বুঝিয়ে পরীমনিকে বাসায় পাঠান।
প্রজন্মনিউজি২৪/শাওন
রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা
সালাম মুর্শেদির গুলশানের বাড়ি সরকারের নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ
প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোর হুশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের
২০২৩ সালে বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩ নেতার পদে রদবদল
দেওয়ানগঞ্জে মেয়র এর নির্দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ
হাবিপ্রবিতে ল্যাব টেকনিশিয়ানদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা
পবিপ্রবিতে ইফতার মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ