বজ্রপাত পর্যবেক্ষণে অবহেলা: ১ সপ্তাহে ৫৬ জনের মৃত্যু!

প্রকাশিত: ০৮ জুন, ২০২১ ০১:৫৪:৪১

বজ্রপাত পর্যবেক্ষণে অবহেলা: ১ সপ্তাহে ৫৬ জনের মৃত্যু!

ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে সাধারণত বজ্রপাত হয়ে থাকে। তবে কালবৈশাখী সক্রিয় থাকলে বজ্রপাত বেড়ে যায়। চলতি মাসে প্রতিদিনই বজ্রপাত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে নিয়মিত মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। জুনের প্রথম সপ্তাহেই বজ্রপাতে সারাদেশে ৫৬ জনের মৃত্যু। তাদের মধ্যে- ৭ জুনে ৯ জন, ৬ জুনে ২৫ জন, ৫ জুনে ৭ জন, ৪ জুনে ৯ জন, ৩ জুনে ৫ জন এবং ১ জুনে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মজিদুল ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত যখনই মেঘ হোক তখনই বজ্রপাত হতে পারে। কালবৈশাখী যতক্ষণ সক্রিয় থাকে, সেটা বজ্রপাতের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। তবে শীতকালে বজ্রপাত হয় না, কারণ তখন মেঘ তৈরি হয় না। আর জুনে মৌসুমী বায়ু এলে বজ্রপাত কমে যায়। বজ্রপাতের জন্য যে মেঘগুলো দরকার, সেগুলো হলে যেকোনো সময় বজ্রপাত হতে পারে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়েছে। তবে বজ্রপাত সম্পর্কে সচেতন হলে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের গণনার যন্ত্র থাকলেও তা আপাতত কাজ করছে না। ফলে দেশে প্রতিনিয়ত কী পরিমাণ বজ্রপাত হচ্ছে, তা জানাও সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ যন্ত্র স্থাপন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ মজিদুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাত গণনা করার যন্ত্র আছে। কিন্তু বন্ধ দেখতে পাচ্ছি। আমি ২ থেকে ৩ মাস ধরে এটা বন্ধ দেখছি। জানি না যে, জিনিসটাই কি নষ্ট নাকি মনিটরটাই নষ্ট। আমাদেরটা টেস্টিং পর্যায়ে আছে। ওটা বসানো হয়েছে, ফাইনালি কমিশনিং এখনও হয়নি। কখনো ইন্টারনেট থাকে না, কখনো বিদ্যুৎ থাকে না, এসব সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত কত বজ্রপাত হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি থাকি এক জায়গায়, আর এর সার্ভার অন্য জায়গায়। জুনে প্রচুর ব্যস্ততা আছে। তাই এসব তথ্য নিতে জুনের পর আসেন। সমস্যাগুলো সমাধান হলে সার্ভার দেখতে যাবেন বলেন তিনি।#

প্রজন্মনিউজ২৪/ফাহাদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ