গাজায় ইজরায়েলের সিরিজ বোমা হামলা

প্রকাশিত: ১১ মে, ২০২১ ০৬:৫৬:৫৬ || পরিবর্তিত: ১১ মে, ২০২১ ০৬:৫৬:৫৬

গাজায় ইজরায়েলের সিরিজ বোমা হামলা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। সোমবার (১০ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পরপরই এ হামলার ঘটনা ঘটে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে সিরিজ বিমান হামলা চালায়। এতে ২০ জন নিহত এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বিবিসিকে বলেছেন, তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) গাজায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ শুরু করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটা শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে তিন হামাস যোদ্ধাকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।

ইসরায়েলের এই হামলায় ইজ্ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ফায়াদ নিহত হয়েছেন বলে হামাস সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে। হামলার পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা রেডলাইন অতিক্রম করায় ইসরায়েল পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে। ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে পাল্টা জবাব দেবে। যারা ইসরায়েলে আক্রমণ করবে, তাদের অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।

তবে চলমান এই সংঘাত স্বল্প সময়ের জন্য চলতে পারে বলে মনে করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং জাররাহ এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে কয়েকদিন পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়।

পবিত্র রমজানের জুমাতুল বিদা এবং মুসলিমদের পবিত্র রাত শবে কদরেও আল-আকসায় তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ করে আসছেন। এরমধ্যেই প্রতিশোধ হিসেবে হামাস ইসরায়েলে দিকে রকেট হামলা চালায়। এর আগে সোমবার ভোররাত থেকে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। এতে বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়।

এসময় ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনারা। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, সহিংসতায় অন্তত ৩০০ মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক গুরুতর আহত। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আল-আকসা মসজিদের ভেতর নারী মুসল্লিদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হচ্ছে। টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয় আল কিবলি মসজিদের ভেতরও। 

সোমবার জেরুজালেম দিবস পালন করতে আসা ইসরায়েলি নাগরিকদের সঙ্গেও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। তারপরই গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা চালাতে পারে এমন খবর প্রকাশ করছিল স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুজালেম ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। জেরুজালেম বিজয়ের স্মরণে ১০ মে ‘জেরুজালেম দিবস’ হিসেবে পালন করে ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা।

এই দিবসে শহরজুড়ে শোভাযাত্রা বের করে তারা। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ২০ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। সোমবার (১০ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পরপরই এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে সিরিজ বিমান হামলা চালায়। এতে ২০ জন নিহত এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বিবিসিকে বলেছেন, তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) গাজায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ শুরু করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটা শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে তিন হামাস যোদ্ধাকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে। ইসরায়েলের এই হামলায় ইজ্ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ফায়াদ নিহত হয়েছেন বলে হামাস সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে।

হামলার পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা রেডলাইন অতিক্রম করায় ইসরায়েল পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে। ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে পাল্টা জবাব দেবে। যারা ইসরায়েলে আক্রমণ করবে, তাদের অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে। তবে চলমান এই সংঘাত স্বল্প সময়ের জন্য চলতে পারে বলে মনে করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং জাররাহ এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে কয়েকদিন পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। পবিত্র রমজানের জুমাতুল বিদা এবং মুসলিমদের পবিত্র রাত শবে কদরেও আল-আকসায় তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ করে আসছেন।

এরমধ্যেই প্রতিশোধ হিসেবে হামাস ইসরায়েলে দিকে রকেট হামলা চালায়। এর আগে সোমবার ভোররাত থেকে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। এতে বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়। এসময় ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনারা। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, সহিংসতায় অন্তত ৩০০ মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক গুরুতর আহত। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আল-আকসা মসজিদের ভেতর নারী মুসল্লিদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হচ্ছে। টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয় আল কিবলি মসজিদের ভেতরও।  সোমবার জেরুজালেম দিবস পালন করতে আসা ইসরায়েলি নাগরিকদের সঙ্গেও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। তারপরই গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা চালাতে পারে এমন খবর প্রকাশ করছিল স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুজালেম ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। জেরুজালেম বিজয়ের স্মরণে ১০ মে ‘জেরুজালেম দিবস’ হিসেবে পালন করে ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। এই দিবসে শহরজুড়ে শোভাযাত্রা বের করে তারা। জহুরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ