দিনাজপুরে বোরো চাল সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত: ০৯ মে, ২০২১ ১১:৩০:৩২ || পরিবর্তিত: ০৯ মে, ২০২১ ১১:৩০:৩২

দিনাজপুরে বোরো চাল সংগ্রহ শুরু

তাফহিমুল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে অভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় খাদ্য মন্ত্রালয়ের আয়োজনে জেলা খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। জেলা প্রশাসক খালেক মোহাম্মদ জাকী, দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সন্দ্বীপ কুমার দাস, দিনাজপুর জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সহসভাপতি প্রতাপ কুমার সাহা (পানু), সাধারন সম্পাদক মোছাদ্দেক হোসেন চৌধুরি পাপ্পু, সাংগঠনিক সপ্মাদক গোলাম মাজেদুর রহমান ও দিনাজপুর জেলা মিল মালিকেরা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯১ হাজার ৮২ মে.টন। এখন পর্যন্ত ১৬৯ টি চাল- কল চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আর ২৪ হাজার মেট্রিকটন চাল চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১৮০০ হাস্কিং মিল রয়েছে এবং প্রায় ৩০০ অটো রাইস মিল।  চাল সংগ্রহ করা হবে ৪০ টাকা কেজি দরে। 


দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এসএম সাইফুল ইসলাম জানান, বোরো চাল সংগ্রহ ৭মে থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। সরকার চল্লিশ টাকায় চালের দাম নির্ধারণ করেছেন। সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রা ৯১ হাজার ৮২ মেট্রিকটন ধরা হয়েছে। অ্যাপসের মাধ্যমে মিলাররা বাসায় বসে তাদের আবেদনের , চুক্তির জন্য সকল কার্যক্রম‌ ও কাগজপত্র প্রস্তুত করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ধান-চাল সংগ্রহ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় করানো হবে। সরকার যে বাজার নির্ধারণ করে দিয়েছেন মিলন সকলেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। আশাকরি আগামী কালকের মধ্যে সব মিলায়ে চুক্তিবদ্ধ হবে।

মিল মালিকরা বলেন, সরকার যে রেট দিয়েছে, আমরা সকল মিলাররা চাল দিতে আগ্রহী। আগামীকাল পর্যন্ত সরকার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি তার মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হতে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করতেছি সরকার জন্য একটু সময়সীমা বৃদ্ধি করে দেয়। সামনে ঈদ সরকার যদি ঈদের পর পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করে তাহলে আমরা ১০০% মিল মালিকের চুক্তিবদ্ধ হতে পারব।

তিনি আরো জানান, সিদ্ধের পাশাপাশি আতপ  মিলও আছে দিনাজপুরে। সরকার আতপ চালের বিষয় নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কাগজ এখনো হাতে পায়নি। বিগত বছরগুলোতে আবার কম ছিল এবং বাজারের সাথে সরকারের যে মূল্য অনেক পার্থক্য ছিল তাই মিলাররা সঠিক সময়ে চাল দিতে পারেননি। এর ফলে মিলনরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাতেই আমরা খুশি এবং চাল দিতে আগ্রহী।

প্রজন্মনিউজ২৪/শাওন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ