বাস পেলেও সিট ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২১ ১২:০০:৩৯

বাস পেলেও সিট ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সরকারি বিধিনিষেধ শিথিলের পর বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল থেকে সারাদেশে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এতে খুশি সাধারণ জনগণ। তবে শুরুর দিনই বাসে সিট পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ অনেকের মধ্যে।

টানা ২২ দিন পর গণপরিবহন চলাচলের প্রথম দিনই রাজধানীর কাওরান বাজার, বাংলামোটর, ধানমন্ডি, কলাবাগান, শুক্রাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে বাসের উপস্থিতি কম। যেগুলো আছে সেগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।

 সামাজিক দূরত্ব না মেনেই জটলা করে দাঁড়িয়ে আছেন বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা। বাসের ভেতর নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের বসানো হলেও মূল ঝামেলা বাধে ওঠার আগে।

অনেক দিন পর ঢাকার সড়কে বাস পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে বাসে সিট পাওয়া নিয়ে বাধে মূল ঝামেলা। অর্ধেক সিটে যাত্রী পরিবহণ করায় বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। অনেকে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বাস না পেয়ে কর্মস্থলে রওনা হন গত কয়েকদিনের নিয়মেই।

বাংলামোটরে বাসের জন্য অপেক্ষারত মামুন নামের এক অফিসগামী যাত্রী বলেন, ‘রাস্তায় যে বাস পাওয়া যাচ্ছে, এটি স্বস্তির বিষয়। লকডাউনে অফিসে আসা-যাওয়ায় যে পরিমাণ টাকা গেছে, বেতনের অর্ধেকতো তাতেই শেষ।’

আরেক যাত্রী জানান, বাস চলাচল শুরু হলেও অর্ধেক সিটে যাত্রী নেওয়ার নিয়মে বাস পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। অনেক সময় দাঁড়িয়েও বাস পাচ্ছি না।

কাওরান বাজারে বাসের জন্য অপেক্ষারত জাকির হোসেন বলেন, ‘বাস চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ। তবে আক্ষেপের বিষয় সিট পাচ্ছি না। অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছি।’

শিকড় পরিবহনের হেলপার রমজান জানান, আমরা কোনো বাড়তি যাত্রী নিচ্ছি না। অনেকেই জোর করে উঠতে চায়। কিন্তু এটি আমাদের জন্য সমস্যা।

এদিকে রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও গণপরিবহনের চাপে সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকছে। চেক পোস্টগুলোতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। মোটরসাইকেলের বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশকে। বিশেষ করে দুইজন নেওয়া মোটরসাইকেল চালকদের বেশ জেরার মুখেই পড়তে হচ্ছে।

কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারার মোড়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল (ট্রাফিক) আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আজ থেকে বাস নামায় সড়কে চাপ বেড়ে গেছে। যানজট লাগছে, আবার খুলে যাচ্ছে। এভাবেই চলছে।’

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি আশানুরূপ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়ল। তবে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা রয়েছে ব্যাংকও। এছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা আছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাজমুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ