বীরগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদবাজার!

প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২১ ১১:৩২:৩৬

বীরগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদবাজার!

মোঃ নাজমুল ইসলাম, বীরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে জমে উঠেছে বীরগঞ্জের ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভীড় বিপণি বিতানগুলো।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী পোষাকের সবচেয়ে কদর বেশী। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ইত্যাদি ঈদ পণ্য কিনে নিচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভীড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে কাজ করছেন তারা। গত বছরের চেয়ে এ বছর পোশাক তৈরি বেশি হচ্ছে বলে দাবী করেন টেইলার্স  মোঃ নাঈম ইসলাম গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ বাজার অনেক জমজমাট।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণের আতঙ্ক বিরাজ করলেও থেমে নেই মানুষ। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষ ততই বাজারমুখী হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে মানুষের ক্রয়-বিক্রয়। স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় প্রশাসনের তেমন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকের। শুক্রবার থেকে ঈদ বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা বেশী। মেয়েদের পাকিস্তানী বারিশ পোশাকটি প্রকার ভেদে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বীরগঞ্জের কাপড় ব্যাবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, পাকিস্তানী বারিশ, ইন্ডিয়ান বুটিক্স, হাফ সিল্ক ও ভিনয় থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। পার্টি শাড়ী, গোলভানু, স্বর্ণকাতান, কাতান, ইন্ডিয়ান সিল্ক, পাকিস্তানী জামদানী, টাঙ্গাইল, সিনথেটিক্স জামদানী, ঢাকাইয়া জামদানী, কুচি প্রিন্স শাড়ী, লংফ্রোগ ও ল্যাহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বিক্রি অনেক ভালো।

বীরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইন্ডিয়ান বুটিক্স ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার, পাকিস্তানী বারিশ ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার, তাওক্কাল ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আকন বস্ত্রালয়ে অবন্তিকা ১০ হাজার থেকে ১৬ হাজার, জোবেদা ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার, সাকিলা ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার, নিত্তি ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার, বিবেক ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার, লিভিনা ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০, ফিওনা ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার ও আমিরাও ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শাড়ী সাউথ কাতান ৫ হাজার ৫০০ থেকে ১৬ হাজার, জর্দান সিল্ক ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৮ হাজার ৩০০ টাকা ও জামদানী ৫ হাজার ৩০০ থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। সোনিয়া আক্তার লিয়া নামের আরেক ক্রেতা বলেন, পাকিস্তানী বারিশ ফ্যাশনের একটি থ্রিপিস ৪ হাজার ৫০০ টাকায় ক্রয় করেছি। দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। সুমাইয়া আক্তার বলেন, বীরগঞ্জে প্রতিবছরের ন্যায় কেনাকাটা করেছি। চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়।

১১নং মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ হাঁটের রফিক বস্ত্রালয়ের পরিচালক বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনার মাঝেও গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রয় ভালোই হচ্ছে। দামও সাধ্যেও মধ্যে থাকায় মানুষ সাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছে। পৌর শহরের বিভিন্ন বস্ত্রালয়, ফ্যাসন হাউস ঘুরে দেখা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে। এ সকল বিপণি বিতানগুলোতে ভিনয়, ল্যাহেঙ্গা, জর্জেট জামদানী, সিল্ক, টাঙ্গাইল, লোন ও বারিশ থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।

বীরগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল ওয়ারেস, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে বাজারে আসার কথা ব্যক্ত করে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ী ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।#

প্রজন্মনিউজ২৪/এফএম

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ