প্রকাশিত: ০৩ মে, ২০২১ ০২:৪১:৪৩
তাফহিমুল ইসালাম ,দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। শপিং মল ও সুপার মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফুটপাতেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। দিনাজপুর শহরের মার্কেগুলোতে এবার মেঘাটু, কারিনা, মনটেক্স, নাতাশা, প্লাজো, ফ্লোরটাচ, সাউথ কাতান, জর্জেট কাতান, টাঙ্গাইল শাড়ি, বেনারসি শাড়ি- থ্রিপিস এবং পাঞ্জাবির চাহিদা বেড়েছে। তবে গরমের কারণে সুতির কাপড়ের চাহিদা বেশি।
করোনার প্রভাবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত শহরের গুলসান মার্কেট, লুৎফুননেছা টাওয়ার, বেগম প্লাজা, রহিম সুপার মার্কেট, জাবেদ সুপার মার্কেট এবং গ্রিন সুপার মার্কেটগুলোতে চলছে কেনাবেচা। বিভিন্ন দামে রাজশাহী সিল্ক, সাউথ কাতান, জর্জেট কাতান, মোহিনী মোহন, কাঞ্জিলাল শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি কাপড় বিদেশী কাপড়ের তুলনাই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এবার নাতাশা, মেঘাটু, ফ্লোর টাচ, লেহেঙ্গা বিভিন্ন রকমের শার্ট,প্যান্ট,পাঞ্জাবি সবার নজর কেড়েছে। দাম একটু বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের মনে ক্ষোব দেখা গেছে।কিন্তু মার্কেট খুলার জন্য খুশি ব্যবসায়ী ও ক্রেতারাও।এবার ঈদে দিনাজপুরের বিপণি বিতানগুলোতে বিদেশি কাপড়ের পাশাপাশি দেশি পোশাকগুলো তরুণ তরুণীদের নজর কেড়েছে। বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার, মালদাপট্টি এলাকার বিপণি বিতানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীর দেখা গেছে। মার্কেটগুলোতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয়,চীনা,থাইল্যান্ডের পোশাকের কেনাবেচা চোখে পড়ার মতো। শাড়িসহ রেডিমেড পোশাক কেনার জন্য ছোট বড় সব মার্কেটেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। গত বছর করেনা জন্য মার্কেট বন্ধ থাকলেও এবার ঈদকে সামনেরেখে সিমিত আকারে শপিং মল ও মার্কেট খুলে দেওয়া হয়ছে।
কয় একজন বিক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, গত বছর থেকে দোকান বন্ধ থাকার জন্য ব্যবসায় খুব লোকসান হয়েছে। এবার সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার অনুমতি দিলেও রাত আটটার মধ্যে তা বন্ধ করতে হচ্ছে। এর ফলে ইফতারের পরে মার্কেটে আর কোন ক্রেতা থাকে না। সরকার যদি সময়কে বৃদ্ধি করে রাত দশটা পর্যন্ত করে তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য খুব ভালো হয়।
তারা আরো জানান, এবার বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশি পোশাক বিক্রি হচ্ছে সমানতালে। ক্রেতাও আসতেছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
নিম্ন আয়ের ক্রেতারা ফুটপাত ও দিনাজপুর রেনবো মার্কেটের দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে বেশি। কসমেটিকস, স্টেশনারি ও জুতার দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ক্রেতা।
মার্কেট করতে আসা আরফিন বেগম বলেন, পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। শাশুড়ির জন্য শাড়ি। শশুরের জন্য লুঙ্গি ,পাঞ্জাবী। ছেলেমেয়েদের জন্য কাপড়, জুতা এবং নিজের জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। দাম একটু বেশি। কিন্তু কেনাকাটা করতে পেরে অনেক খুশি।
রুমি জানান, এবার বাজারে পছন্দমত কাপড় এসেছে। দাম একটু বেশি হলেও মন মত কেনাকাটা করতে পারতেছি।
এদিকে, বাহাদুর বাজার, গনেশতলা, মালদা পট্টি, লিলির মোড়সহ শহরের বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ব্যাপক যানজট দেখতে পাওয়া গেছে। যানজট নিরসনে কাজ করছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।পুলিশ বিভিন্ন মার্কেটে টহলরত রয়েছে যাতে করে কোন মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি কিংবা ছিনতাইকারীর কবলে কেউ না পরে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এএআই
পেট থেকে জীবন্ত মাছ বের করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন সেই ডাক্তার
নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
বাংলা কলেজের ছাত্র না হয়েও তারা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি
ভুল চিকিৎসায় পা হারালো শিক্ষার্থী
সিমান্তে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ
র্যাবের অভিযানে সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের ১২ সদস্য গ্রেফতার
শশীভুষনে তিন দোকান পুড়ে ছাই ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
ঈদে ঢাকা ছাড়বে দেড় কোটির বেশি মানুষ, ছুটি ২ দিন বাড়ানোর দাবি