মহান মে দিবস: আজকের প্রেক্ষাপট

প্রকাশিত: ০২ মে, ২০২১ ০৯:১৬:৫৭ || পরিবর্তিত: ০২ মে, ২০২১ ০৯:১৬:৫৭

মহান মে দিবস: আজকের প্রেক্ষাপট

মে দিবসের প্রেক্ষাপট

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস মে দিবস নামে পরিচিত। মে মাসের প্রথম দিনটি মে দিবস হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশে পালিত হয়। বেশ কিছু দেশে মে দিবসকে "লেবার ডে" হিসেবে পালন করা হয়। পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হতো। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬দিন। বিপরীতে মজুরি মিলত নগণ্য। শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করতো। ক্ষেত্র বিশেষে তা  দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়তো। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন এবং তাদের এই দাবি কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানা মালিকগণ এ দাবি মেনে নিলো না। ১লা মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যা বেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর "হে" মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন।

আগস্ট স্পিজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাঁড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশ বাহিনী তৎক্ষণাৎ শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে যা রায়টে রূপ নেই। এতে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পিজ সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন। অন্য একজনের ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহণের পূর্বে আগস্ট স্পিজ বলেছিলেন, "আজ আমাদের এই নিস্তব্ধতা তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে।”

২৬ শে জুন ১৮৯৩ ইলিয়নের গভর্নর অভিযুক্ত ৮জনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করার দাবি অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। আর পহেলা মে বা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবি আদায়ের দিন হিসেবে। পৃথিবীব্যাপী আজও তা পালিত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এই দিন পালিত হয় না। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার শ্রমিক দিবস পালন করা হয়।

মে দিবস পালনের সিদ্ধান্ত

শিকাগোর রক্তঝরা শ্রমিক আন্দোলন ক্রমেই সফল হওয়ার পথে অগ্রসর হয়। মাত্র ৪ বছর পর ১৮৮৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রমিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশের জন্য এক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কংগ্রেসের সিদ্ধান্তবলে প্রতি বছর ১লা মে ঐক্যবদ্ধভাবে পালনের ঘোষণা প্রদান করা হয়। এভাবেই শুরু হয় মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ফলে ১৮৯০ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা ১ মে দিবসটি পালন করে আসছেন।

শ্রমিকদের দাবি আদায়ের গৌরবদীপ্ত ইতিহাসের ক্রমধারায় বিভিন্ন দেশে শ্রমিকরা আরো ঐক্যবদ্ধ হতে থাকেন। ফলে ১৯২০ সালে রেল, চা বাগান ও স্টিমার শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সংহতি ব্রিটিশদের কাঁপিয়ে তোলে। এ সময় গড়ে ওঠে ট্রেড ইউনিয়ন। তারাও মে দিবস পালনের চেষ্টা চালায়। তবে বিভিন্ন দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার কারণে গোপনে চলতে থাকে মে দিবস।

বাংলাদেশ মে দিবস

শ্রমিক দিবসের প্রেরণা থেকে বাংলাদেশ মোটেও পিছিয়ে নেই।  এদেশে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯৩৮ সালে। তখন ব্রিটিশ শাসনামল। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের শাসন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালিত হয়। ঐ বছর সদ্য স্বাধীন দেশে ১লা মে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। তারপর থেকে আজও ১লা মে সরকারি ছুটির দিন বহাল আছে।  এদিন শ্রমিক সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। রাষ্ট্রের সরকারি দল ও বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিভিন্ন সংগঠন ও দিবসটি পালন করে থাকে। এইদিন দেশের সকল প্রচার মাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় পক্ষে সভা সেমিনার সিম্পোজিয়াম এর খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়।

শিশুশ্রম

এখন আসি শিশুশ্রমের কথায়, আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকা যেখানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ বিবেকেরা থাকেন, সুশীলগণ থাকেন, শিক্ষিত জনগণ থাকেন সর্বোপরি দেশের সচেতন লোকেরা থাকেন আর ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি শিশুশ্রমের মতন নিষ্ঠুর কাজটা দেখা যায়। বিশেষ করে পুরনো ঢাকায় সর্বত্র গড়ে ওঠা ছোট ছোট কারখানাগুলোতে শিশু শ্রমিকদের উপস্থিতি এক কথায় ভয়াবহ এবং তা আমাদের সকলের চোখের সামনেই হচ্ছে। অথচ প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া আমাদের অনেক উঁচু পর্যায়ের সুধীজনদের বাসায়ও শিশু কাজের লোক দেখা যায়। আর ঐ লোকেরাই সুযোগ পেলে সভা-সেমিনারে শিশুশ্রমের

বিরুদ্ধে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দেন। শুধু কি শহরে! গ্রামে-গঞ্জেও শিশুশ্রমিকদের বিপুল আকারে দেখা যায়। যা শুধু আমাদের নৈতিকতায় আঘাত করেনা বরং ভবিষ্যতের জন্যও বিপদজনক। কারণ তারাই এই সমাজের একটা বিরাট অংশ এবং আমাদের আত্মীয় বা প্রতিবেশী।

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার

শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ধর্ম ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকারের কথা বিবৃত হয়েছে। ইসলাম শ্রমের প্রতি যেমন মানুষকে উৎসাহিত করেছে  তেমনি শ্রমিকের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে অত্যন্ত সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। কারণ যারা মানুষের সুখের জন্য মাথার ঘাম ফেলে নিজেদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয় তারা তো মহান আল্লাহর কাছে ও মর্যাদার অধিকারী।

শ্রমের মর্যাদা বুঝাতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেছেন, "কারো জন্য স্বহস্তের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার্য আর নেই।" আর আল্লাহর নবী দাঊদ (আ:) স্বহস্তে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর একজন শ্রমিকের সবচেয়ে বড় অধিকার বা দাবী হলো তার শ্রমের যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করা। এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, "তোমরা শ্রমিককে তার শরীরের ঘাম শুকানোর পূর্বেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।" ইসলাম শ্রমিক শ্রেণীকে শ্রেষ্ঠতম বিশেষণে ভূষিত করেছেন। এ ধর্ম সংসারের ভরণপোষণের জন্য হালাল উপায়ে উপার্জনকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং শ্রমিককে আল্লাহর পথের মুজাহিদ বলে উল্লেখ করেছেন।

ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক

ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হবে পিতা সন্তানের ন্যায়। নিজের পরম আত্মীয়ের মতোই শ্রমিকের সাথে আন্তরিক আচরণ করা, পরিবারের সদস্যদের মতোই তাদের আপ্যায়ন করা, শ্রমিকের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার প্রতিটি মুহূর্তে প্রত্যেক মালিকের খেয়াল রাখা এবং তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনা করা মালিকের দায়িত্ব-কর্তব্য। শ্রমিককে তার প্রাপ্য পূর্ণভাবে যথাসময়ে প্রদান করা ও মালিকের একটি প্রধান দায়িত্ব।

অনেক সময় শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মালিকগণ উপযুক্ত মূল্য না দিয়ে যৎসামান্য মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে। এধরনের মালিকদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন মহান আল্লাহ বলেন, "কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে। তাদের মধ্যে একজন শ্রমিকের নিকট থেকে পূর্ণ শ্রম গ্রহণ করে অথচ তার পূর্ণ মজুরি প্রদান করে না" অপরদিকে একজন শ্রমিকের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো চুক্তি মোতাবেক মালিকের প্রদত্ত কাজ অত্যন্ত নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সাথে সম্পাদন করা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,"আল্লাহ ঐ শ্রমিককে ভালবাসেন যে সুন্দরভাবে কার্য সমাধা করে।" কিন্তু কোন কোন শ্রমিক মালিকের কাজে ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করে থাকে। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ জন্য তাঁকে কিয়ামতের মাঠে অবশ্যই বিচারের সম্মূখীন হতে হবে। আর যদি শ্রমিক তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে তাহলে তার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বিগুণ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে বলেন তিন শ্রেণীর লোককে দ্বিগুণ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে বলেন, " তিন শ্রেণীর লোককে দ্বিগুণ ছওয়াব প্রদান করা হয় হবে। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী হলো ঐ  শ্রমিক যে মালিকের হক্ব আদায় করে এবং আল্লাহর হক্ব ও আদায় করে।"

তিনি আরো বলেন, "সৎ শ্রমিকের জন্য দুটি প্রতিদান রয়েছে।" আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, "যে সত্ত্বার হাতে আবু হুরায়রার প্রাণ তাঁর কসম! যদি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ,হজ্ব ও আমার মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহারের ব্যাপারগুলো না থাকতো তাহলে আমি শ্রমিক হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পছন্দ করতাম।"

শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান

শ্রমিকদের যে বিষয় মনে রাখা জরুরী তা হলো-বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। সুতরাং মে দিবসে ব্যক্তির যানবাহন চালানোর বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খোলা রাখার অধিকারও আছে। তাতে বাঁধাদানের অধিকার কারও নেই। কিন্তু আমাদের দেশে মে দিবসে যদি কেউ যানবাহন চালায় বা দোকানপাট খোলা রাখে তাহলে উৎশৃংখল কিছু শ্রমিককে গাড়ি ভাঙচুর করতে এবং দোকান দোকান পাট জোর করে বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। যা আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়। অনুরূপভাবে হরতাল - ধর্মঘটও বর্জন করা আবশ্যক।

পরিশেষে আমাদের করণীয়

পরিশেষে বলা যায়, এই সুন্দর পৃথিবীর রূপ-লাবণ্যতায় শ্রমিকদের কৃতিত্ব অগ্রগণ্য। কিন্তু শত আক্ষেপ! সভ্যতার কারিগর এই শ্রেণীটা সর্বত্রই উপেক্ষিত    অবহেলিত ও  সুবিধাবঞ্চিত। উদয়াস্ত উষ্ণ ঘামের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ নিয়ে খেটে যে শ্রমিক তার মালিকের অর্থযন্ত্রটি সচল রাখে সেই মালিকেরই অবিচারে শ্রমিকদের অচল জীবনটি আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এটাকে সেই মৌমাছির সাথে তুলনা করা

যায়, যারা দীর্ঘ পরিশ্রমের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে চাকে সঞ্চয় করে কিন্তু তার ভাগ্যে এক ফোঁটা মধু জোটে না। সুতরাং সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা মালিক-শ্রমিক বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনী (রহ:) এর একটি বাণী দিয়ে শেষ করব মে দিবসের আলোচনা। তিনি বলেছেন, "সমাজের সবচেয়ে দামী ও উপকারী শ্রেণী হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণী। মানব সমাজের উন্নতি ও অগ্রগতির চাকা ঘুরছে শ্রমিকদের হাতে। একটি টেকসই সমাজ সেখানকার শ্রমিকদের পরিশ্রমের কাছে ঋণী।"

 

মুহা: ইব্রাহীম খলিল সবুজ

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ