প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ০৬:৫৬:১৫
দরজায় কড়া নাড়ছে মাহে রমজান। মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পবিত্র মাস এটি। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অনেক সাধনার ও সংযমের মাস রমজান। যার শুরুটা হয় ভোরের সাহ্রিতে আর শেষ হয় সন্ধ্যার ইফতারিতে।
আর রহমতময় এ মাসে নিজেকে সুস্থ ও সবল রাখতে চাইলে খাবারের ব্যাপারেও সংযম পালন করে সেহরি ও ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।সাধারণত বেশির ভাগ পরিবারে এ সময় তিন বেলা খাবার খায় —ইফতার, রাতের খাবার ও সাহরি। রোজার সময় কোন ধরনের খাদ্য বেশি খাওয়া উচিত তা সকলের জানা প্রয়োজন।
এবারের রোজা হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের সময়ে।দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় ১৪-১৫ ঘণ্টা পানাহার না করে থাকতে হবে। তাই খাবার দাবারের ব্যাপারে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ খেয়াল রাখতে হবে অসুস্থ হয়ে পড়লে এবাদত করতে কষ্ট হবে।
এসময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস বা স্মুদি এ ধরনের তরল, ঠাণ্ডা খাবার ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে এনার্জি নেয়াই ভালো।
সাহ্রি : সাহ্রি দিয়ে একজন রোজাদারের দিন শুরু হয়। তাই মনে রাখতে হবে, সেহেরীর খাবার মুখরোচক, সহজ পাচ্য ও স্বাস্থ্য সম্মত হওয়া প্রয়োজন। তাই মাছ, মাংস, ডাল, ভাত আদর্শ খাবার। ভোররাতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগী খেলে ভালো হবে। তবে শাকসবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে।সেহরিতে অন্তত এক লিটার পানি পান করুন। এই পানি শরীরের ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে ক্ষুধার চাহিদাকে অনেকটা কমাবে।
সেহরিতে সবচেয় ভালো হয় যদি লাল ভাতের সঙ্গে মিক্সড সবজি যেমন লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদি ১ কাপ, মাছ বা মুরগি ১ টুকরা, ডাল আধা কাপ, সঙ্গে দই খাওয়া যায়। সঙ্গে ১-২টি খেজুর খেলে সারাদিনের ক্যালরি পূরণ হবে। সাহ্রির শেষ সময়ের কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে সাহ্রি খাওয়া শেষ করতে হবে।
অধিক তেল, অধিক ঝাল, অধিক চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া একদম উচিত নয়। তৈলাক্ত খাবার খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া সেহরির সময় মিষ্টি না খাওয়া ভাল। তাতে খিদে বেড়ে যেতে পারে। বেশি লবণ যুক্ত খাদ্য খেলে পানির পিপাসা বেড়ে যায় বলে রোজা রাখতে কষ্ট হবে।
অনেকে মনে করেন যে সারিতে পেটপুরে খেলে মনে হয় সারা দিনে আর ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে প্রচুর পরিমাণে খেতে দেখা যায়।যেটি আমাদের স্বাস্থের জন্যে খুবই ক্ষতিকর । তাই কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাবেন না। মনে রাখবেন, খাদ্য হচ্ছে মানবদেহের জ্বালানি, শরীরে সব ধরনের খাবারের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চাহিদা থাকে, চাহিদার অতিরিক্ত খেলেই বিপত্তি ঘটবে।
ইফতার: রোজাদারের জন্য খুব আনন্দের সময় হচ্ছে ইফতারের সময়। সারাদিন রোজা থাকার পর পাকস্থলীতে এমন কিছু খাবার দেয়া উচিৎ যা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগায় ও বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। এজন্য একজন রোজাদার ইফতারে কি খাবেন তা নির্ভর করবে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের উপর।তবে দোকানের তৈরি ইফতারি না খাওয়াই ভালো।
ইফতারিতে খেজুর , ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পেঁয়াজু, বুট, জিলাপি, দুধ-মুড়ি, নরম খিচুড়ি, চিড়া, দই-কলা, পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি, তরমুজ ও মৌসুমি ফল থাকা ভালো। কারণ ফলে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়।রুচি অনুযায়ী বাসার রান্না করা নুডুলসও খেতে পারেন। বেশি ভাজি ভুনা তেহারি, হালিম না খাওয়াই ভালো।কারণ এতে বদহজম হতে পারে।
এসময় একবারে বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এবং কোনোভাবেই কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণ মত ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খাবেন।
রমজান মাস শ্রেষ্ঠ রহমতের মাস। সংযম পালনও সংযম শিক্ষার মাস। সুষম খাদ্য খেয়ে পরিমিত ভোজন করে শরীরকে সুস্থ-সবল রেখে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারাই হবে উত্তম কাজ। রোজায় স্বাস্থ্যকর খাবার খান, সুস্থ থাকুন।
প্রজন্মনিউজ২৪/ মামুন
বশেমুরবিপ্রবি প্রকল্প পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ
সিলেটে পুলিশের অভিযানে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ২
ঢাবির ২৩-২৪ সেশনে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের কর্ণধার নূর মোহাম্মদ আবু তাহের গ্রেপ্তার
ঢাবির চারুকলা ইউনিটে পাশের হার ১১.৭৫ শতাংশ
পেট থেকে জীবন্ত মাছ বের করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন সেই ডাক্তার