ফলাফল দেখার অপেক্ষায় সবাই

ইরানের উপস্থিতিতে আমেরিকারক ছাড়াই শুরু হল গুরুত্বপূর্ণ ভিয়েনা বৈঠক

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল, ২০২১ ০৮:৫৪:২৯

ইরানের উপস্থিতিতে আমেরিকারক ছাড়াই শুরু হল গুরুত্বপূর্ণ ভিয়েনা বৈঠক

ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক যৌথ কমিশনের বৈঠক আজ থেকে ভিয়েনায় শুরু হয়েছে। এর আগে পরমাণু সমঝোতার অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে আজকের ভিয়েনা বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

ভার্চুয়াল বৈঠকের পর পাশ্চাত্যের কোনো কোনো মিডিয়া খবর দিয়েছিল আজকের ভিয়েনা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন তবে এতে ইরানের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না। এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় ভিয়েনা বৈঠকে যোগদানকারী ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পরমাণু সমঝোতার সকল পক্ষই এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবে। তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতার যৌথ কমিশনসহ যে কোনো বৈঠকে যদি ইরান উপস্থিত থাকে তাহলে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র উপস্থিত থাকতে পারবে না এবং এটাই ইরানে চূড়ান্ত নীতি। এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন আমরা ইরানের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, কমিশনের এবারের বৈঠকের সঙ্গে আগের বৈঠকের কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, পরমাণু  সমঝোতা  বিষয়ক যৌথ কমিশনের বৈঠকের এজেন্ডায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। অন্য কথায়,  কীভাবে পরমাণু সমঝোতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে বৈঠকে তা সুস্পষ্ট করা হবে।  সাঈদ খাতিবজাদে বলেন, 'এ পথ পরিষ্কার। সমস্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একবারেই সরিয়ে নিতে হবে। তারপর তা তেহরান পরীক্ষা করে দেখবে এবং তারপরই শুধুমাত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান তার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেবে।'

প্রকৃতপক্ষে, পরমাণু সমঝোতায় ইরানের অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে। ইরান যে দিন থেকে ওই চুক্তি সই ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সেদিন থেকেই আমেরিকার চাপিয়ে দেয়া সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা। ওয়াশিংটন এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০০টি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইরানের ওপর। বর্তমানে কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেয়া ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক পরিষদের সদস্য জোসেফ সিরনেসিওন বলেছেন, ভিয়েনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্তই গৃহীত হোক না কেন সেটাকে কেবল তখনই  গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক হিসেবে দেখা হবে যদি তা বিরাজমান সন্দেহ ও ভুল বোঝাবুঝির অবসানে ভূমিকা রাখে এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার বহি:প্রকাশ ঘটায়। এর অন্যথায় পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করতে হলে সব পক্ষের দৃঢ় ইচ্ছা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। মার্কিন সরকার এ সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় অনাস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং এ চুক্তির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ভিয়েনা বৈঠক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। তবে এবারের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার হওয়ার রয়েছে এবং সেকারণে সবার নজর এখন এর ফলাফলের দিকে

প্রজন্মনিউজ২৪/নাজমুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ