শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল, ২০২১ ০১:২০:৩১

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে বোমা পুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে বা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনার অপর রায়েও আসামিদের ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথরেফারেন্স এসেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামিরা হলেন- মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান। এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে দুটি মামলার রায় বিচারিক আদালতে আগেই হয়। ওইদিন অপর মামলাটির রায় হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।

হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের নেতা-কর্মী। হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

অপর দিকে, হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।#

প্রজন্মনিউজ২৪/ফাহাদ

এ সম্পর্কিত খবর

গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের কর্ণধার নূর মোহাম্মদ আবু তাহের গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আবারও খারাপ, পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা

ঈদে ঢাকা ছাড়বে দেড় কোটির বেশি মানুষ, ছুটি ২ দিন বাড়ানোর দাবি

উচ্চমূল্যের মুঠোফোন প্যাকেজ গ্রাহকদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে

বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে

প্রধানমন্ত্রী মোদির বাড়ি ঘেরাও কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিল্লি

আবারও অভিযোগ ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে, এন্ডোস্কপি করাতে গিয়ে মৃত্যু

খুবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে : এবি পার্টি

উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ ভারতের আদালতের

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ