বিএনপি’র নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেত

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ, ২০২১ ০৩:৪৫:৩৬

বিএনপি’র নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেত

দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং বিএনপি’র দলাদলি-নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সহ-সভাপতি বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্মরণ সভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি একথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলবো, ‘আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, যদিওবা অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচণ্ড অসত্য কথা বলতে হয়, কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত-পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধারণ করেছে আর আপনি সেটি অনুধাবন করতে পারলেন না! জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে যে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ হয়েছে, ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত, যা ভারত এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকে অনেক বেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।’
‘আসলে বিষয়টা হচ্ছে, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারতো’ উল্লেখ করে ড. হাছান।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে কোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটাও অনভিপ্রেত এবং আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু এটি নিয়ে যেভাবে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা হচ্ছে, সেটি আরো অনভিপ্রেত।’
এ ঘটনা নিয়ে যেভাবে নানা কথা বলা হচ্ছে, পানি ঘোলা করার এ ধরণের চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না জানিয়ে ড. হাছানা বলেন, ‘এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক ছিল না কি কারা কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল, বা অন্য কোনো কারণ ছিল কি না। সেগুলো বেরিয়ে এলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
কিন্তু এ নিয়ে যেভাবে কেউ কেউ ঐ আইন বাতিল করতে হবে বলছেন, তা অমূলক কারণ আইন সবার জন্য, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিক, গৃহিনী, কৃষক, চাকুরিজীবীসহ সকলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। যে কারো চরিত্রহরণ করা হলে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই আইন। অবশ্যই এই আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি এবং অপব্যবহার হওয়া কাম্য নয়।’
সদ্য প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কখনো ভাবিনি, এই বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি ইতিপূর্বেও বহুবার অসুস্থ হয়েছেন আবার সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এবার তার মৃত্যু সংবাদ আমার কাছে বজ্রপাতের মতোই মনে হয়েছিল।
পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ২০১৯ সালে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত এটিএম শামসুজ্জামানের অভিনয় শৈলীকে অসাধারণ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘এমন শিল্পী বাংলাদেশে খুব একটা জন্ম হয়নি। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে ছিলেন এবং দু:সময়ে তিনি রাজপথে থেকেছেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এ স্মরণসভার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের সহ-সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামীলীগ নেতা এম. এ করিম, সংগঠনের সদস্য অভিনেত্রী তারিন, শাহনুর, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, অভিনেতা শাকিল খান, এটিএম শামসুজ্জামানের কন্যা কোয়েল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, সাংবাদিক সুজন হালদার, মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি, সমিরন রায়, শাহাদাত হোসেন টয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রজন্মনিউজ২৪/গাজীআক্তারবিএনপি’র নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেত
দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং বিএনপি’র দলাদলি-নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সহ-সভাপতি বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্মরণ সভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি একথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলবো, ‘আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, যদিওবা অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচণ্ড অসত্য কথা বলতে হয়, কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত-পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধারণ করেছে আর আপনি সেটি অনুধাবন করতে পারলেন না! জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে যে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ হয়েছে, ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত, যা ভারত এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকে অনেক বেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।’
‘আসলে বিষয়টা হচ্ছে, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারতো’ উল্লেখ করে ড. হাছান।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে কোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটাও অনভিপ্রেত এবং আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু এটি নিয়ে যেভাবে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা হচ্ছে, সেটি আরো অনভিপ্রেত।’
এ ঘটনা নিয়ে যেভাবে নানা কথা বলা হচ্ছে, পানি ঘোলা করার এ ধরণের চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না জানিয়ে ড. হাছানা বলেন, ‘এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক ছিল না কি কারা কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল, বা অন্য কোনো কারণ ছিল কি না। সেগুলো বেরিয়ে এলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
কিন্তু এ নিয়ে যেভাবে কেউ কেউ ঐ আইন বাতিল করতে হবে বলছেন, তা অমূলক কারণ আইন সবার জন্য, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিক, গৃহিনী, কৃষক, চাকুরিজীবীসহ সকলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। যে কারো চরিত্রহরণ করা হলে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই আইন। অবশ্যই এই আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি এবং অপব্যবহার হওয়া কাম্য নয়।’
সদ্য প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কখনো ভাবিনি, এই বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি ইতিপূর্বেও বহুবার অসুস্থ হয়েছেন আবার সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এবার তার মৃত্যু সংবাদ আমার কাছে বজ্রপাতের মতোই মনে হয়েছিল।
পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ২০১৯ সালে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত এটিএম শামসুজ্জামানের অভিনয় শৈলীকে অসাধারণ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘এমন শিল্পী বাংলাদেশে খুব একটা জন্ম হয়নি। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে ছিলেন এবং দু:সময়ে তিনি রাজপথে থেকেছেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এ স্মরণসভার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের সহ-সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামীলীগ নেতা এম. এ করিম, সংগঠনের সদস্য অভিনেত্রী তারিন, শাহনুর, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, অভিনেতা শাকিল খান, এটিএম শামসুজ্জামানের কন্যা কোয়েল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, সাংবাদিক সুজন হালদার, মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি, সমিরন রায়, শাহাদাত হোসেন টয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রজন্মনিউজ২৪/গাজীআক্তার

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ