বাংলাদেশের শন্তিপ্রিয় মানুষের নিকট পুলিশ প্রধানের জানতে চাওয়া ‘পুলিশকে কেন প্রতিপক্ষ বানানো হয়’। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশকে যুদ্ধ করতে হয়। প্রতি বছর হারাতে হয় ডজন ডজন সহকর্মীকে। আমরা আর মৃত্যু দেখতে চাই না। জনগনের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২১’ উপলক্ষে আজ ঢাকা মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দায়িত্ব পালানকালে নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে, বনশত্রুদের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ যুদ্ধ করে। এই যুদ্ধ ক্রমাগত, অবিরত ও অবিরাম। আর যুদ্ধ হলেই অবিরামভাবে আসে মৃত্যু। সে কারণে প্রতি বছর আমাদের ডজন ডজন সহকর্মীকে হারাই। পুলিশে এই মৃত্যুর মিছিল, শাহাদাৎবরণকারীদের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আমরা আর কোনো মৃত্যু দেখতে চাই না। আমাদের পরিবারও মৃত্যু দেখতে চায় না। 

তিনি আরো বলেন, করোনাকালেও পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৫ জন সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। সেই সঙ্গে করোনাকালে প্রায় ২১ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন,  সুস্থ হয়েছেন এবং আবার দায়িত্ব পালন করেছেন। যেকোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ সম্মুখ সাড়িতে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের দক্ষতা ও দৃঢ়তার যে সাক্ষ্য দিয়েছে তা দিয়ে তারা জনগণের  হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশবাসী পুলিশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ব্লু রিবন পরিয়ে দেয় পুলিশকে যা  ‘ব্লু রিবন ডে’ বলা হয়ে। এই দিন নীল রঙে সাজানো শহর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আগামী বছর এই দিসবটি চালু কারার কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।

প্রজন্মনিউজ২৪/এসএ