কাজের অভাবে পেশা বদলাচ্ছেন কামারেরা

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৩:৩৮:৩৯

কাজের অভাবে পেশা বদলাচ্ছেন কামারেরা

প্রযুক্তির বদৌলতে গ্রাম বাংলা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দা, কাস্তে, কোদাল, কুড়াল ও শাবলসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব যন্ত্রপাতিগুলো তৈরি ও ধার দেয়ার জন্য গ্রামের হাটবাজারগুলোতে এক সময় ছিল কামারদের বেশ আধিপত্য। কিন্তু বর্তমানে তার কিছুই নেই। এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি এসে সেসব জিনিসের ব্যবহার কমে গেছে। ফলে বাজারগুলোতে আগের মতো চোখে পড়ে না কামারদের সেই কর্মযজ্ঞ। যদিও দু-একজন আছেন তারাও এখন কাজের অভাবে ছেড়ে দিচ্ছেন এ পেশা।

মাগুরা সদর উপজেলার নিলয় কর্মকার বাবার হাত ধরে প্রায় ৫৫ বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন। তিনি জানালেন, ২০-২২ বছর আগেও এ পেশার সঙ্গে প্রায় একশো পরিবার জড়িত ছিল। কিন্তু দিন দিন এ পেশা পরিবর্তন করে অন্যান্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে জেলার চার উপজেলায় মাত্র ৬০-৬৫টি পরিবার তাদের বাপ-দাদাদের ব্যবসা খুব কষ্টে ধরে রেখেছেন।

শহরের নতুন বাজারের গোবিন্দ কর্মকার (৬৫) গণমাধ্যমকে জানান, কোরবানির এক মাস আগে থেকেই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এছাড়া বছরের অন্য সময় হ্যান্ডেল, হাতুড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে তাদের কোনোমতো সংসার চলে।

তিনি আরও জানান, কাঁচামাল সংকট, উচ্চমূল্য এবং পণ্যের ভালো দাম না পাওয়ায় অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।

শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়ার মানিক কর্মকার (৬২) জানান, পৈত্রিক পেশা হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে লোহা পেটানোর কাজ করে আসছেন তিনি। বৃদ্ধ বয়সেও কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তার সন্তানদের কেউ এ পেশায় আসেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি বললেন, লোহা-কয়লার দাম যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে আমাদের তৈরি পণ্যের দাম বাড়েনি। কামারদের মানুষ এখন আর সম্মান দেয় না।

তিনি আরও জানান, কয়লা খনির কয়লা এখন আর আগের মতো পাওয়া যায় না। খড়ির কয়লা দিয়ে কাজ করতে হয়। আগে ১২শ টাকা দিয়ে এক বস্তা কয়লা কিনতে পারলেও এখন তার দাম বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। লোহার দামও বেড়ে গেছে। এসব কারণে অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।

মাগুরা শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের (বিসিক) উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, লোহা, কয়লাসহ এই শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম এখন বেড়ে গেছে। বেশি দাম দিয়েও আবার মানসম্পন্ন কাঁচামাল পাওয়া যায় না। যে কারণে পরিশ্রম এবং খরচের তুলনায় আয় কম হয়। এসব কারণে এ কাজের সঙ্গে জড়িত অনেকেই পেশা পরিবর্তন করছেন। তবে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বিসিক কাজ করছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

প্রজন্মনিউজ২৪/এমএ

এ সম্পর্কিত খবর

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

বোরহানউদ্দিনে পুলিশের পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

বৃষ্টির জন্য বরিশালে কাঁদলেন শত শত মানুষ

ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

বিশ্ব বই দিবসে নিজের কক্ষেই লাইব্রেরি গড়ে তুললেন রাবি শিক্ষার্থী আকরাম

আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল

তাপপ্রবাহে বিচারকাজ অনলাইনে করতে প্রধান বিচারপতিকে বারের চিঠি

পথচারীদের জন্য ‘কুলিং স্পেস’ তৈরির চেষ্টাও চলছে : বুশরা আফরিন

টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, গ্রামাঞ্চলে খাবার পানির তীব্র সংকট

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ