অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০১:২৫:৩৭

অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে দেশটির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছে ৩১টি দেশের ১৩৭টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের কাছে লেখা এক যৌথ চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর এএফপির।

চিঠিতে বলা হয়, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের জবাব ও জান্তা সরকার যাতে নতুন করে নিপীড়ন চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত দেশটির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

চিঠিতে স্বাক্ষর করা এনজিওগুলোর কয়েক ডজন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের। স্বাক্ষরকারী এনজিওগুলো বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিশেষ বিশেষ খাতে ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং জান্তা নেতাদের ও সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পত্তি জব্দ করা।

চিঠিতে আরও বলা হয়, চীন, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, ফিলিপাইনস, রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ যেসব দেশের সরকার মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তাদের অবিলম্বে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি সরবরাহ বন্ধ করা দরকার।

উল্লিখিত দেশগুলোর মধ্যে তিনটি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এরা হলো স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া এবং অস্থায়ী সদস্য ভারত।

চিঠিতে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) পরিচালক কেনেথ রথ লেখেন, রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে চালানো নিষ্ঠুরতা, দশকের পর দশক ধরে চালিয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধ ও সর্বশেষ নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ ন্যূনতম পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।

চিঠিতে স্বাক্ষর করা এনজিওগুলোর কয়েক ডজন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের। স্বাক্ষরকারী এনজিওগুলো বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিশেষ বিশেষ খাতে ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং জান্তা নেতাদের ও সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পত্তি জব্দ করা।

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ