৬ দফাসহ ফের আলটিমেটাম, ৪০ ঘণ্টা পেরোলেও হয়নি মামলা।

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৪:০৬:২৩

৬ দফাসহ ফের আলটিমেটাম, ৪০ ঘণ্টা পেরোলেও হয়নি মামলা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়রি) সন্ধ্যায় হামলা হলেও এখন পর্যন্ত মামলা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে প্রায় ৪০ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেছে। ফলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হামলায় অভিযুক্তদের নামে মামলা করার জন্য প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি ) দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে মামলার আলটিমেটাম দেওয়াসহ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ আবর্তনের শিক্ষার্থী সামিয়া হাসান লিতু।

এ সময় পরিকল্পিত এ হামলার বিচার করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করা, যারা এখনো গেরুয়ায় অবস্থান করছে তাদের নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা, নিরাপত্তার স্বার্থে হল খুলে দিয়ে ইউটিলিটি সেবা নিশ্চিত করা, শুধু আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় নয়; ক্ষতিগ্রস্ত সব শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের আশপাশের সব শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেওয়া এবং ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিতে হবে বলে জানানো হয়।

পরে, মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় মামলার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরি সজলের সঙ্গে। কিন্তু এখনো মামলা করা হয়নি বলে জানান তিনি। বলেন, গতকাল শনিবার রাতে আমরা মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু সংশোধন থাকায় রাতে আর মামলাটি করা হয়নি। সকালে ওইসব বিষয় সংশোধন করা হয়। এখন সবকিছু ঠিক থাকলে সন্ধ্যার মধ্যেই মামলা করা হবে। 

তবে কোন ধারায় মামলাটি করা হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি এই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। বলেন, ঘটনা যেভাবে ঘটেছে আমরা ওইভাবেই সব উল্লেখ করেছি। থানায় গেলে বোঝা যাবে কোন কোন ধারায় মামলাটি করা হবে। 

এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গেরুয়ার স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষের জেরে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট কয়েক দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং গেরুয়ায় সীমানা প্রাচীরসহ গেট নির্মাণের দাবি মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ থাকায় শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার দাবির সঙ্গে একমত হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে। বর্তমানে ছাত্রদের আটটি হলে ছাত্ররা অবস্থান করছেন। তবে, ছাত্রীরা শুরুতে হলে প্রবেশ করলেও পরে তারা বেরিয়ে যান।

প্রজন্মনিউজ২৪/মাহফুজ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ