চীনা বাহিনীর উপর অগ্নিবৃষ্টি করতে সীমান্তে এম ৭৭৭ কামান মোতায়েন ভারতের

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:৩৫:০৫

চীনা বাহিনীর উপর অগ্নিবৃষ্টি করতে সীমান্তে এম ৭৭৭ কামান মোতায়েন ভারতের

সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের চীন সীমান্তে এম ৭৭৭ খুব হালকা হাউইৎজার কামান নিয়ে লালফৌজের মোকাবিলা করতে তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনা।

বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে একথা জানালেন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান।

ইস্টার্ন কমান্ডের সেনা সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এনসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, “লাদাখে চীনের সেনা অপসারণ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গালওয়ানের ঘটনা এবং সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের কথা মাথায় রেখে সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্তে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। চীনা সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করতে অনেকগুলো অতি হালকা হাউইৎজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। সদ্য আমেরিকা থেকে কেনা এম ৭৭৭ কামান তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ড্রোন, অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে চীনা সেনাবাহিনীর উপর দিন রাত নজরদারি চালানো হচ্ছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে চৌহান আরও জানান, “উত্তর-পূর্বে চীনের মিস অ্যাডভেঞ্চার রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্টর চেয়ে বেশিই রয়েছে।”

সেনাবাহিনীর সাফল্যের রিপোর্ট কার্ড পেশ করে তিনি বলেন, “মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তারাও সহযোগিতা করছেন। ফলে ২০২০ সালের নভেম্বরে পরেশ বড়ুয়া ঘনিষ্ঠ আলফার কমান্ডার দৃষ্টি রাজখোয়া আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। সেনার সাঁড়াশি অভিযানের জেরে আত্মসমর্পণ করেছে মিয়ানমারে পলাতক এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর কয়েকজন জঙ্গি নেতা।”

করোনা আবহেও সিকিম ও অরুণাচল সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করা হয়েছে যথাযথভাবে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। এজন্য ভারতীয় সেনারা শারীরিক সংঘাতে যেতেও পিছপা হননি। তবে সতর্ক থাকার কারণে চীন সীমান্তে মোতায়েন ইস্টার্ন কমান্ডের আওতাধীন কোনও সেনা সদস্যই করোনা আক্রান্ত হননি। শুধু তাই নয়, গত বছর সুপার সাইক্লোন আমফান দুর্যোগের পর বিধ্বস্ত কলকাতার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন সেনা সদস্যরা। চলতি বছরে দেশে ১৪৪ জন সেনাকর্মী ও অফিসারকে তাদের অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য বিভিন্ন সেনা পদকে সম্মানিত করা হয়েছে। এর ৯৫ শতাংশ পুরস্কার পেয়েছে নর্দার্ন কমান্ড।

এর থেকেই প্রমাণ পাকিস্তান সীমান্ত ও চীনের লাদাখ সীমান্ত বেশি অশান্ত ও উত্তেজনাপ্রবণ। সেই তুলনায় পূর্ব ও উত্তর পূর্বে চীন সীমান্ত ততটা নয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/সাইফুল

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ