পাকিস্তান-তুরস্কের মহড়ায় আতঙ্কে ভারত

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:৪৫:২৪ || পরিবর্তিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:৪৫:২৪

পাকিস্তান-তুরস্কের মহড়ায় আতঙ্কে ভারত

গত মঙ্গলবার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শুরু হওয়া মহড়াটি তিন সপ্তাহ ধরে চলবে। মহড়ায় তুর্কি স্পেশাল ফোর্স ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ অংশ নিয়েছে। পাকিস্তান ও তুরস্কের এই যৌথ মহড়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ভারত। এমনিতেই প্রতিবেশী দুই শক্তিশালী দেশ চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব নিয়ে উদ্বেগে ভুগছে ভারত। এর সাথে যোগ দিয়েছে উদীয়মান শক্তি তুরস্ক। এবার আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তান এবং তুরস্ক শুরু করেছে যৌথ সামরিক মহড়া। এই অবস্থায় যৌথ সামরিক মহড়া চাপ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লির। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পরে পাকিস্তানের সাথে সুর মিলিয়ে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল তুরস্কও। তার পরে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে টানা দু’বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-বিরোধিতা বজায় রেখেছে তারা। ‘আতাতুর্ক ২০২১’ নামের এই মহড়াটির উদ্দেশ্য, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা। কিন্তু ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুই ইসলামির রাষ্ট্রের মধ্যে এটি এক রণকৌশলগত জোটের প্রস্তুতি। যা পাকিস্তানের ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসকেই প্রকারান্তরে পুষ্ট করতে পারে। কাশ্মীরসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেও যার প্রভাব পড়তে বাধ্য। ইসলামী বিশ্বে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশের সঙ্গে দূরত্ব রচনা হওয়ার পরে তুরস্কের হাত শক্ত করে ধরেছে ইমরান খানের সরকার। আগামী সপ্তাহেই সন্ত্রাসবাদে আন্তর্জাতিক পুঁজি জোগানোর উপর নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-এর বৈঠক। সেখানেও পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়াতে চলেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের পক্ষ থেকে গত বছরই বলা হয়েছিল, কাশ্মীরের বিষয়টি পাকিস্তানের মতো তাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কপালে চিন্তার ভাজ ভারতের। যৌথ মহড়ায় কাউন্টার টেরোরিজম, ক্লোজ কোয়ার্টার ব্যাটল, কর্ডন অ্যান্ড সার্চ, র‌্যাপেলিং, ফায়ার অ্যান্ড মুভ টেকনিকস, হেলিকপ্টার র‌্যাপেলিং, কম্পাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, হোস্টেজ অ্যান্ড রেসকিউসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণে অংশ নেবে দুই দেশের সেনারা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যৌথ সামরিক মহড়া ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঙ্কারা ও ইসলামাবাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: এবিপি, আনদুলু এজেন্সির। প্রজন্মনিউজ২৪/লিংকন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ