‘আজ বসন্তের হাওয়ায় ভালোবাসা দিবস’

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:২৩:৪৬ || পরিবর্তিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:২৩:৪৬

‘আজ বসন্তের হাওয়ায় ভালোবাসা দিবস’

মুহাম্মদ মোর্শেদ আলমঃ ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন‘স ডে একটি বার্ষিক উৎসবের নাম, যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত হয়। দিবসটি বিশ্বের ভিবিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকে, যদিও অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।

ফাল্গুনের প্রথম দিনে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। গাছে গাছে নতুন ফুল,চার দিকে সবুজ কচি পাতার সমারোহ, পাখির সুর, সব মিলিয়ে প্রকৃতি সেজেছে যেন নতুন এক সাজে। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার বর্ণিল আভা। গেল বছর থেকেই হাত ধরাধরি করে আসছে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস। বসন্তের রঙে ভালবাসা মিশেছে এসে। এতে উৎসবে এনেছে ভিন্ন আমেজ।

কবির ভাষায়,

                ফাগুন এলো ধরার বুকে

                তাইতো পুলক জাগে,

                গাছে গাছে ফুল ফুটিলো

                কত মধুর লাগে,

বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে প্রাণচঞ্চলতা। বসন্ত মানেই গাছে গাছে নতুন ফুল। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, ফাল্গুনের প্রথম দিনে ঘরের বাইরে পা দিলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে। মেয়েদের পরনে বাসন্তি শাড়ি, তার সঙ্গে মিলিয়ে হাতভর্তি চুড়ি, কপালে টিপ, আর খোঁপায় হলুদ ফুল।

এদিকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব নগরের ফুলের দোকানে রয়েছে বাড়তি আয়োজন। দোকানগুলোতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ নানান রঙের দেশি-বিদেশি ফুলের বাহার। বিভিন্ন বুটিক হাউজ সেজেছে বসন্তের নানা পোশাকে।

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। উৎসবে এসেছে বাড়তি রঙ। ফলে উৎসবে মেতে উঠবে নগরবাসী। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেতে উঠবে। বাঙালির মনে চলছে বসন্ত আর ভালোবাসা নিয়ে উৎসব-উদ্দীপনা।

বসন্ত উৎসব নিয়ে নাদিয়া মৌসুমি মাহিনুর নামে এক তরুণী বলেন, '২০১৯ সাল পর্যন্ত ফাল্গুন পালন করে এসেছি ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখে। গতবছর থেকে ভালোবাসা দিবসের সঙ্গে পালন করছি পহেলা ফাল্গুনটা। অনুভূতিটা আসলেই অন্যরকম। একটা নতুন শুরুর মতো মনে হয়। নতুন মাস, নতুন ঋতু কিন্তু পুরোনো ভালোবাসা। সবকিছু মিলিয়ে পুরোটা এক অনন্য অনুভূতি।'

হাফিজ ইব্রাহিম কলেজের শিক্ষার্থী বৃষ্টি রাণী শীল বলেন, 'আমার কাছে বসন্ত মানেই হলুদ রঙের শাড়ি পরে খোঁপায় ফুল গুজে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রতিবছর ঘুরতে বের হওয়া। ফেব্রুয়ারি মাস আসার আগেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ি- বসন্তে কি রঙের শাড়ি পরব তা নিয়ে।'

বৃষ্টি রাণী আরও বলেন, বসন্তের দিনটা আমার কাছে খুব স্পেশাল একটা দিন 'বসন্তের দিন প্রথম কাজ যেটা করি- তা হলো শাটলে চড়ে ক্যাম্পাসে যাওয়া। এরপর সারাদিন ক্যাম্পাসের এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো, জাফর মামার ফুচকা খাওয়া, কলার ঝুপড়ি ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়া, বিকেলে সমাজবিজ্ঞানের ঝুপড়িতে চা খেতে খেতে প্রিয়জনদের সঙ্গে আড্ডা। মহামারি অবস্থায় বন্ধ ক্যাম্পাসও তার বাসন্তি রূপ ধারণ করবে না এ বছর। দিনটি খুব মিস করব।'

এদিকে করোনাকালেও অনেক সংগঠন আগের ঐতিহ্য মেনে বসন্তবরণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে। এ উপলক্ষে লালমোহন সজিব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক সেজেছে বসন্তের নতুন সাজে।

প্রজন্মনিউজ২৪/মোর্শেদ আলম

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ