নতুন ‍দিগন্তের অপেক্ষায় ফুল ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৫:৪৫:৩৭

নতুন ‍দিগন্তের অপেক্ষায় ফুল ব্যবসায়ীরা

আসন্ন ফেব্রুয়ারী মাসকে কেন্দ্র করে যশোরের গদখালিতে ফুলের ব্যবসা কিছুটা ঘুরে দাড়িয়েছে। চাষিদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। এ অঞ্চলের মানুষেরা বিভিন্ন দিবসের দিকে চেয়ে থাকেন। করোনাভাইরাসের কারণে বিগত বছর কোন ব্যবসা করতে পারেনি চাষিরা। করুণ পরিস্থিতির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে এ খাতে সংশ্লিষ্টদের।

আশির দশক থেকে যশোর জেলার গদখালিতে বানিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদন শুরু হয়।বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ফুল এখানে উৎপাদিত হয়।দেশের  সব পাইকারী ব্যবসায়ী এখানে এসে ফুল ক্রয় করে। শত কোটি টাকার কারবার হয় এই  ব্যবসা ঘিরে। যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শার্শা থানার ৭৫ টি গ্রামের ৬ হাজার হেক্টর  জমিতে বাহারি রঙের ফুল চাষ হয়।

ঝিকরগাছা উপজেলার শার্শা থানার গ্রাম গুলোর রাস্তার দু’পাশে লাল,নীল,হলুদ,সাদা,বেগুনিসহ বিচিত্র রঙের ফুল  দেখা যায়। ভোর হতেই গদখালি বাজারে শত-শত ফুল চাষীর আনাগোনা শুরু হয়। দেশের ছোট বড় পাইকাররা সেখান থেকে  ফুল সংগ্রহ করে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। শত-শত হেক্টর জমি নিয়ে গাঁদা,গোলাপ,গ্লাডিওলাস,রজনীগন্ধা,জারবেরা,কসমস,ডেইজ জিপসি ,ডালিয়া,চন্দ্রমল্লিকাসহ এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা হয়।

ভোরবেলা থেকেই জমে উঠতো গদখালি ফুলের  বাজার। কিন্তু করোনার প্রকোপে সব ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন  হয়ে  যায়। পুরো বাজার এখন জনমানবশূণ্য ।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সভাপতি আব্দুর  রহিম বলেন, এবার শিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার সাড়ে  ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছিল।গতবছর করোনার কারণে কেউ ব্যবসা করতে পারেনি।গদখালি অঞ্চলে ৫ হাজার কৃষকের মধ্যে ৫৫ জন সরকারের প্রণোদনা পেয়েছে। বাকিরা এনজিও ‍ঋণ ও অনেক জমি বিক্রি করে সংসার চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন,’করোনাভাইরাস ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে এ খাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। গতবার ৫০ লাখ টাকা ফুল  বিক্রি হয়েছে যেখানে স্বাভাবিক সময়ে  ২ কোটি টাকা ফুল বিক্রি হয়ে থাকত।

মতিন নামে একজন চাষী বলেন,জারবেরা ফুল চাষ করতে ৩৬ লাখ টাকা খরচ হয়। রজনীগন্ধা চাষে প্রতি একর আড়াই লাখ টাকা ,গোলাপ চাষে ৪ লাখ টাকা,গাঁদা চাষে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।

হাড়িয়া গ্রামের চাষি বলেন,’আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ ফুল চাষ করে,প্রতি পিস ৪ টাকা করে বিক্রি করেছি।এতে সামান্য লাভ হয়েছে’।

ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়া এলাকার কৃষক জানান,’করোনাভাইরাসে ফুল বিক্রি না দেনাগ্রস্ত  হয়ে পড়ি। আসন্ন দিবসগুলোতে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছি।’

প্রজন্মনিউজ২৪/মাহমুদুল হাসান

এ সম্পর্কিত খবর

আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টা

ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি শেয়ার করতে পারবেন

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

আদালত অবমাননা : বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ পেছাল

বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিতে রাবিতে 'মলাট' চালু

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

বিশ্ব বই দিবসে নিজের কক্ষেই লাইব্রেরি গড়ে তুললেন রাবি শিক্ষার্থী আকরাম

আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ