নিখোঁজের ২০ দিন পর স্যান্ডেল দেখে মায়ের লাশ শনাক্ত

প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৫:২৬:৫৪

নিখোঁজের ২০ দিন পর স্যান্ডেল দেখে মায়ের লাশ শনাক্ত

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে নিখোঁজের প্রায় ২০ দিন পর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হাঁসাড়গাও এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে থাকা স্যান্ডেল, চুলের ব্যান্ড ও জামা দেখে অরিন নামে এক স্কুলছাত্রী শনাক্ত করেন মৃতদেহ তার মা কুলসুম বেগমের (৩৫)।

পরিবারের ধারণা ছিল কুলসুম বেগম হয়তো ‘প্রেমের টানে’ ঘর ছেড়ে চলে গেছে। সে কারণে তার নিখোঁজের বিষয়টি বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন চেপে যায়। কিন্তু লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাটি হত্যাকাণ্ডে রূপ নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, কুলসুম বেগম হাঁসাড়গাও গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী। গত ১৯ ডিসেম্বর ইকবাল বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার হয়। সে এখনও জেল হাজতে। ইকবাল জেলে যাওয়ার পরপরই কুলসুম বেগম তার বাবার বাড়ি উপজেলার রুসদী গ্রামে চলে যাস। তার ছেলে অয়ন (২০) মানিকগঞ্জ থাকে। আর মেয়ে অরিন শ্রীনগরের বেলতলী জি জে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

কুলসুম বেগমের স্বামীর বোন (ননাশ) হাসিনা বেগম জানান, কুলসুম বেগম কবে নিখোঁজ হয়েছেন তা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারছে না। ইকবাল জেলে যাওয়ার পর থেকে কুলসুম বাবার বাড়ি বা শ্বশুড় বাড়ির কোথাও নির্দিষ্টভাবে থকতো না। সর্বশেষ প্রায় ২০ দিন আগে তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে এসেছিল সে।

কুলসুম বেগমের বাবা আলী আকবরও মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না। তবে দুই পরিবারের লোকজন ধারণা করেছিল কুলসুম বেগম প্রেমের টানে কারও হাত ধরে চলে গেছে।

এদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন শ্রীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজাহিদ। তিনি জানান, কুলসুমের পরিবারের লোকজন বলছে সে প্রায় ২০ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু হাড় ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রেকর্ড করে শনিবার সকালে তা ময়নাতদন্ত ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য পাঠানো হবে।

 

প্রজন্মনিউজ২৪/গাজীআক্তার

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ