টার্গেট হোয়াইট ওয়াশ

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী, ২০২১ ১১:২৬:০৬ || পরিবর্তিত: ২৫ জানুয়ারী, ২০২১ ১১:২৬:০৬

টার্গেট হোয়াইট ওয়াশ

সিটি নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রামে এখন অতটা না হলেও উত্তাপ আছে বন্দরনগরীতে অনুষ্ঠেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের শেষ ওয়ানডের একাদশ নির্বাচন নিয়ে। তামিম ইকবালরা আজ কাকে রেখে কাকে বেছে নিচ্ছেন, দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টাইগার সমর্থকদের ব্যাপক আগ্রহ তা নিয়ে। তবে ডমিঙ্গো-তামিমের কাজ কিছুটা সহজ করে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শেষ ম্যাচ থেকেও ১০ পয়েন্ট তুলে নিতে একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন না করার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। গতকাল অধিনায়ক তামিমও একই বার্তা পৌঁছে দেন মিডিয়াকে। আজকের ম্যাচের একাদশে তাই এক বা দুটি জায়গায় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। আর তা বোলিং বিভাগে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একাদশ যাই হোক, ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও বড় জয় তুলে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে স্বাগতিকদের। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ওয়ানডে দল ইতিহাসেরই খর্বশক্তির। টাইগারদের কাছে টানা দুই ম্যাচে দেড়শ রানের নিচে অলআউট হওয়া প্রমাণ তার। জেসন মোহাম্মদরা এভাবে নাকাল হওয়ায় ক্যারিবীয় দেশগুলোতে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে নিয়মিত ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে খেলতে না আসায় উইন্ডিজ সাবেকরা তুলাধুনা করছেন তাদের। কোচ ফিল সিমন্সকেও কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়েননি তারা। হোয়াইটওয়াশের সামনে দাঁড়িয়ে শিষ্যদের তাই জ্বলে ওঠার মন্ত্র পাঠ দিচ্ছেন কোচ, 'আমরা এখানে এসেছি ৩০ পয়েন্টের জন্য। এখনও ১০ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো উন্নতি করা। ১২২ রানের পর ১৪৮ করেছি আমরা। কিন্তু আমাদের ২৩০ থেকে ২৫০ রান করতে হবে, যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বোলারদের লড়াই করার জন্য তো কিছু দিতে হবে। আর অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট।'

হোয়াইটওয়াশের শঙ্কার মুখে পড়ে সফরকারী দলের কোচ সিমন্স যতটা অসহায় বোধ করছেন, স্বাগতিক কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মনে বাজছে সাফল্যের করতাল। আজ ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে গর্বে বুক ভরে যাবে তার। যদিও আইসিসির নতুন নিয়মে হোয়াইটওয়াশ কোনো মানে বহন করে না। পয়েন্ট নিতে পারাই আসল। ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলেই খুশি থাকবেন কোচরা। টাইগার অধিনায়ক তামিমের কথায়ও অগ্রাধিকার পাচ্ছে পয়েন্ট অর্জন, 'আমরা সিরিজ জিতে গেলেও আরও ১০ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দুই ম্যাচে অতটা ভালো খেলতে পারেনি। তবে তারা বিপজ্জনক দল, যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আশা করি, আমরা ধারাবাহিকতা রাখতে পারব।'

একদিনের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতায় উইন্ডিজের অর্ধেক বয়স বাংলাদেশের। সেই '৭৩ সাল থেকে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে তারা। বাংলাদেশ এ সুযোগ পেয়েছে ১৯৯৮ সাল থেকে। রেকর্ড বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই ২৩ বছরের রেসে উইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা এ সিরিজটি টাইগারদের ৭৪তম। আগের ৭৩ সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পেরেছে ১৩ বার। যার সিংহভাগই করেছে আবার জিম্বাবুয়েকে। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, উইন্ডিজকেও হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব রয়েছে তামিমদের। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ক্যারিবীয়দের তাদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। গত একযুগে আরও পাঁচবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মোকাবিলা করলেও হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি উইন্ডিজকে। চট্টগ্রামে আজ জিতে গেলে দেশের মাটিতেও দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করা হবে। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের পর বড় শক্তির তৃতীয় আরেকটি দলের বিপক্ষে সব ম্যাচ জেতা হবে টাইগারদের নতুন রেকর্ড।


তবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত হবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পয়েন্ট সমান ৩০ হলেও রানরেট ভালো হওয়ায় সেরা দুইয়ে থাকবেন তামিম বাহিনী। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে এ পয়েন্টগুলোই হবে পাথেয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/লিংকন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ