প্রতি বছর কমছে দৌড়ের গতি

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী, ২০২১ ০২:০১:১২ || পরিবর্তিত: ১৬ জানুয়ারী, ২০২১ ০২:০১:১২

প্রতি বছর কমছে দৌড়ের গতি

সেই একই দৃশ্য, যেটা গত তিন বছর ধরে দেখে আসছে সবাই। সবার আগে দৌড় শেষ করার পর সংস্থাটির পতাকা হাতে নিয়ে ট্র্যাকে একসঙ্গে বিজয় উদযাপন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এবং একই সংস্থার শিরিন আক্তার। 
১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে টানা তৃতীয়বার দ্রুততম মানব ইসমাইল এবং ১১.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সামার মিট ও জাতীয় মিলিয়ে টানা ১১বার দ্রুততম মানবী হয়েছেন সাতক্ষীরার অ্যাথলেট শিরিন। কিন্তু গতকাল জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে হ্যান্ড টাইমিংয়ে দু'জন যখন নিজেদের স্কোর জানলেন, তখন হতাশা নেমে আসে। এই দু'জনের রাজ্যে কেউ বসতে যেমন পারছেন না, তেমনি করে টাইমিংয়েও উন্নতি নেই তাদের। 

জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের শেষ তিন আসরের পরিসংখ্যান তুলে ধরলে ফুটে উঠবে হতাশা। সাউথ এশিয়ান গেমসে সেরা হতে গেলে যে পরিমাণ স্কোর প্রয়োজন তার থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশের দৌড়বিদরা। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ইসমাইল ও শিরিনের টাইমিংয়ের কোনো উন্নতি হয়নি। মেয়েদের বিভাগে শিরিনের টাইমিং স্থিতিশীল হলেও ইসমাইলের হয়েছে অবনতি। ২০১৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ১০.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্রুততম মানব হওয়া ইসমাইল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত আসরে ইসমাইলের টাইমিংয়ে অবনমন হয়েছিল; ১০.৪০ সেকেন্ড। এবার দৌড় শেষ করতে ০০.১৫ সেকেন্ড বেশি লেগেছে কুমিল্লার এ অ্যাথলেটের। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে ১০.৭০ সেকেন্ড নিয়ে সপ্তম হয়েছিলেন ইসমাইল। এই জায়গায় তৃপ্তি খুঁজে নিচ্ছেন তিনি; কিন্তু গেমসে লাল-সবুজের পতাকা ওড়াতে হলে যে স্কোরটি যথেষ্ট নয়। সেটা নৌবাহিনীর এ অ্যাথলেটও মনে করছেন, 'করোনাকালে প্র্যাকটিস করা অনেক কঠিন ছিল। এই সময়ে দৌড়ে প্রথম হয়েছি, নিজে নিজে একটু সন্তুষ্ট যে, দ্রুততম মানবের খেতাবটা ধরে রাখতে পারছি। আশা করি বাংলাদেশ গেমসে সময় কমাতে পারব। টাইমিংটা ভালো না হওয়ার জন্য টার্ফের দোষ। এখন পুশ করলে রিটার্ন দিচ্ছে না। যে কারণে শক্তিটা চলে যাচ্ছে।'

দ্রুততম মানবী শিরিনের তিন বছরের টাইমিংয়ে উন্নতি, অবনতি, আবারও উন্নতি হয়েছে। ২০১৯ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হওয়া শিরিন সময় নিয়েছিলেন ১১.৮০ সেকেন্ড। এক বছর পর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত আসরে বাজে পারফরম্যান্স করেছিলেন। ১২.১০ সেকেন্ড নিয়েও দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন। দুই বছর আগের সমান স্কোরটি এবার করেছেন তিনি। অবশ্য সর্বশেষ সাউথ এশিয়ান গেমসের চেয়েও (১২.৩২ সেকেন্ড) ভালো করেছেন। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় টাইমিংটা ভালো করতে না পারার অতৃপ্তির সঙ্গে আগামী এসএ গেমসে সেরা হওয়ার স্বপ্ন শিরিনের, 'নিশ্চয়ই আরও ভালো টাইমিং আশা করেছিলেন। আমি মোটামুটি খুশি। সামনে বাংলাদেশ গেমস আছে। ওখানে ভালো টাইমিং করতে চাই। আসলে এবার পরবর্তী টার্গেট দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সেরা হওয়া।' অ্যাথলেটিকসে মেয়েদের বিভাগে জাতীয় ও সামার মিট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৭ বার প্রথম হয়েছেন নাজমুন্নাহার বিউটি। তবে সেই রেকর্ডটির কথা নাকি জানেন না শিরিন আক্তার। নিজেকে সবচেয়ে বেশিবার দ্রুততম মানবী মনে করছেন তিনি।

প্রজন্মনিউজ২৪/লিংকন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ