আজই কলকাতায় আসছে ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী, ২০২১ ০৬:৫৮:০৩

আজই কলকাতায় আসছে ভ্যাকসিন

আজ, শুক্রবার রাজ্যে আসছে করোনা ভ্যাকসিন। নবান্নকে চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়েও দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের একাধিক শীর্ষ সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে আসার পর সেই ভ্যাকসিন চলে যাবে বাগবাজারে দপ্তরের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ কেন্দ্র ‘সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোর্স’-এ। সেখান থেকে করোনার টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের ৯৪০টি কেন্দ্রে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ গোটা দেশের ৭৩৬টি জেলায় করোনা ভ্যাকসিনের ‘ড্রাই রান’ হচ্ছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন উদ্যোগ। এ রাজ্যের সব জেলায় চলবে টিকাকরণের চূড়ান্ত মহড়া। এদিন তা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে অনলাইন আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন। যদিও সাধারণ মানুষ কবে টিকা পাবেন, সেব্যাপারে তিনি কোনও জবাব দিতে পারেননি। 
ভ্যাকদিন আসা এবং চূড়ান্ত ‘ড্রাই রান’—করোনা পর্বের মধ্যে এই দুটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সারতে এদিন স্বাস্থ্যভবনে দফায় দফায় বৈঠক চলে। অফিসারদের ব্যস্ততার শেষ ছিল না। ভ্যাকদিন আসার পর বাগবাজারের স্টোরে নিয়ে যাওয়া হবে। তাই সেই স্টোরের যাবতীয় পরিকাঠামো, যন্ত্রপাতি সবই খতিয়ে দেখতে দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা সন্ধ্যাতেই স্টোরে চলে যান। এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘শুক্রবার ভ্যাকসিন আসছে বলে কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে। সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 
দপ্তর সূত্রে খবর, আজ কলকাতায় পাঁচ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা পুরসভার বরো তিনের অধীনে মানিকতলা লাগোয়া একটি আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে চলবে ‘ড্রাই রান’। বাদবাকি সব জেলায় প্রস্তুতির এই মহড়া হবে তিনটি করে জায়গায়। উত্তর ২৪ পরগনায় সকাল সাড়ে ন’টাতেই ‘ড্রাই রান’ শুরু হচ্ছে তিন জায়গায়—বারাসত জেলা হাসপাতাল, নান্না গ্রামীণ হাসপাতাল এবং মণিরামপুর আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার। 
তবে সংক্রমণ সামলে আসা এই সময়েও কেন্দ্রীয় সরকার পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। কোনও গাফিলতির কারণে যাতে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ে, সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়কে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হতে চললেও কোনওভাবে যেন কোভিডরোধী আচরণবিধিতে ঢিলেমি না হয়। ব্রিটেন থেকে আসা নতুন স্ট্রেইনের ব্যাপারে নজরদারিতেও রাজ্যগুলিকে জোর দিতে বলা হয়েছে। 
অন্যদিকে, সামনেই সপ্তাহেই করোনার টিকাকরণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তারই লক্ষ্যে আজকের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পরীক্ষা। যদিও আপাতত ‘রেস্ট্রিকটেড ইউ঩জে’র ছাড়পত্রে স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিস, সেনা, আধা সেনা, সাফাইকর্মীদের মতো প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের মতো তিন কোটি নাগরিকের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে। কিন্তু বাকি কো-মরবিড এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৭ কোটি বাসিন্দা কবে ভ্যাকসিন পাবেন, এখনও তা জানা যায়নি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রায় প্রতিটি রাজ্যের মন্ত্রীই ডাঃ হর্ষ বর্ধনের কাছে জানতে চান, ‘সাধারণ মানুষ কবে ভ্যাকসিন পাবে সেটা বলুন। আপনি না জানালে আমরা তো রাজ্যবাসীকে কোনও জবাব দিতে পারছি না।’ উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন একটাই কথা, ‘চিন্তা করবেন না, শীঘ্রই শুরু হবে।’ 
এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রাপকদের আধার কার্ডের প্রয়োজন নেই বলে রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও পরিচয়পত্র আবশ্যক। এক কর্তা জানিয়েছেন, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাঙ্কের পাশ বই থেকে শুরু করে যে অফিসে কাজ করেন, সেখানে সচিত্র পরিচয় থাকলেও চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে জানানো টেমপ্লেটে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘আধার লাগবে না’!

প্রজন্মনিউজ২৪/এসএস

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ