লক্ষ্মীপুর জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা, শতাধিক তোরণসহ ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:০২:১১

লক্ষ্মীপুর জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা, শতাধিক তোরণসহ ব্যাপক প্রস্তুতি

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর)। সকাল ১০টায় সভা শুরু হয়। সভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বর্ধিত সভায় যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিসয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেনও উপস্থিত আছেন। সভার সভাপতিত্ব করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। সভা পরিচালনা করছেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘বর্ধিত সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনে সম্মেলন আয়োজনের পাশাপাশি পৌরসভা নির্বাচন, দলে গ্রুপিং না রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’

সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সভা আহ্বান করা হয়েছে। তাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সভার এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

সভা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের ছবি দিয়ে বানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা। লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কের প্রায় শতাধিক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। জেলার বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে শুভেচ্ছাবার্তার ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে শহরকে। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব দলীয় নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মার্চে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গোলাম ফারুক পিংকুকে সভাপতি ও অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বর্তমানে ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ১৮ বছর, পৌর কমিটির ১৮ বছর, রায়পুর উপজেলা ১৭ বছর, রায়পুর পৌর কমিটির ২২ বছর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না।

সবগুলো কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে পড়েছে। একই অবস্থা রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর কমিটির। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিও প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করে চলেছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/সাখাওয়াত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ