আজ বীরপ্রতীক তারামন বিবির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০১:২৭:৫৯ || পরিবর্তিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০১:২৭:৫৯

আজ বীরপ্রতীক তারামন বিবির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

বীরপ্রতীক তারামন বিবির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।২০১৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে কোরআন খতমসহ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সোবহানের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন তারামন বিবি।তিনি লেখাপড়ার সুযোগ পাননি।অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের হয়ে তারামন বিবি মুক্তিবাহিনীদের রান্নাবান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীদের খবরাখবর সংগ্রহ করা এবং সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।এ কারণে তাকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন।রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন।তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন সম্মুখ সমরে।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও সে কথা তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর জানতে পারেননি।ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজিবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করেন।এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয়। বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মাত্র দু’জন নারীর মধ্যে একজন হচ্ছেন তারামন বিবি।

তারামন বিবির জন্ম ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে।১৯৭১ সালে তারামন বিবি ১১নম্বর সেক্টরে নিজ গ্রামে ছিলেন।তখন ১১নম্বর সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের।

প্রজন্মনিউজ২৪/হারুন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ