প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৪:৫৯:১৪
কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়োগো ম্যারাডোনা আর নেই। বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। মৃত্যুর অনেক আগে থেকেই এই কিংবদন্তিকে আর্জেন্টাইনরা ‘ফুটবল ঈশ্বর’ই ভাবতেন।
জীবন্ত ম্যারাডোনাকে তারা মনে-প্রাণে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে রেখেছিলেন।
আর্জেন্টাইনদের মনে ম্যারাডোনার অবস্থানটি কোন স্থানে, তার এ ব্যতিক্রম উদাহরণ হচ্ছে ম্যারাডোনাইয়ান চার্চ। চার্চটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালে ম্যারাডোনার ৩৮তম জন্মদিনে।
এই চার্চটি আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্স থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে রোজারিওতে। এখানে ভক্তরা ১০ নম্বর জার্সি পরে। বাইবেলকে সরিয়ে পড়ানো হয় ম্যারাডোনার আত্মজীবনী। সারা বিশ্বে দুই লাখ ভক্তসংখ্যা এই চার্চের।
চার্চের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার আলেজান্দ্রো ভেরন। তিনি তার স্মৃতিচারণে বলেন, একবার ২৯ অক্টোবর মাঝরাতে একটা ফোন পান ভেরন। ট্রাস্টি বোর্ডের এক সদস্যই তাকে ফোন করে বলেন, ‘মেরি এক্স-মাস’। ভেরন বলেন, ‘মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি তোমার? আজ তো সবে ৩০ অক্টোবরে পড়লাম।’
ফোনকারী অবিচলিত, ‘ঠিক তাই। আমাদের যিশু তো ৩০ অক্টোবরই জন্মেছেন।’ এ থেকেই অনুমান করা যায় আর্জেন্টিনার জনমনে কেমন ছিল ম্যারাডোনার অবস্থান।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ হজম করতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা গোলকিপার শিলটনকে। ওই ম্যাচে ম্যারাডোনার দ্বিতীয় গোলটি ক্লাসিক। আর্জেন্টাইন গ্রেটের জোড়া গোলে ইংল্যান্ড হেরে ছিটকে পড়েছিল বিশ্বকাপ থেকে।
ম্যারাডোনার ভাষায়, প্রথম গোলটিকে আমি ‘ঈশ্বরের হাত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলাম। কেন করেছিলাম তার ব্যাখ্যায় যাচ্ছি। ব্যাখ্যাটা খুবই সরল। ঈশ্বরই তো আমাদের হাত দিয়েছেন। আর আমি ঈশ্বর-প্রদত্ত ওই হাত ব্যবহার করেই গোলটা করেছিলাম। ওটা ঈশ্বরের হাতের গোল নয় তো কী!
তথ্যসূত্র : বিভিন্ন অনলাইন।
প্রজন্মনিউজ২৪/নাজমুল
আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফরের কারণ কী
আফ্রিকায় বাংলাদেশি বক্সারের স্বর্ণজয়
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে তা সর্বজনবিদিত
রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
রাবিতে বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে বইপাঠ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত