নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রারকে ড.শফিকের আইনি নোটিশ

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৩৭:৩৩

নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রারকে ড.শফিকের আইনি নোটিশ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিবদালেয়র রেজিস্ট্রার অধাপক ড. মো.  আবুল হাসেনকে প্রশাসনিক হয়রানির অভিযোগে (লিগ্যাল) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ফার্মেসি  বিভাগের অধাপক  ড. মোহাম্মদ  শফিকুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.রাশেদ খান এই নোটিশ পাঠান।নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ড. শফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

আগামী দশ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এই অধ্যাপক। উক্ত উকিল নোটিশ কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৯  সালের  ২৫শে নভেম্বর একটি পত্র দিয়ে জানতে চান ২৮শে  মার্চ  ২০১৭ সালের বাছাই বোর্ডের সিদ্ধান্ত যা ২০১৭ সালে ৩০তম রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুমোদন হয়।

সেই আলোকে অধ্যাপক ড.শফিক ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মধ্যে কে জ্যেষ্ঠ?

ড. শফিক তার পত্রের কোন জবাব না পেয়ে ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আরেকটি আবেদন পত্র দিয়ে ১ নভেম্বর এর মধ্যে বিষয়টি জানার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড. শফিকের পত্রের জবাব না দিয়ে তথ্য অধিকার  আইন ২০০৯-এর  ধারা ৪ ও  ৯  অমান্য করেছে।

অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন,আমি জ্যেষ্ঠতা জানতে চেয়েছি, ডিনের কথা ভিসির চিঠিতে কোথাও লিখিনি। উপাচার্য আমাকে বার বার আশ্বাস দিয়েছেন এটা সমাধান করে দিবেন এবং আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে তিনি স্বীকার করেছেন। আমাকে অবশিষ্ট ৩ মাসের  জন্য ডিনের দায়িত্ব নিতে বলেও এখন তিনি তা থেকে সরে এসেছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন উকিল নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি

বলেন, বিষয়টি ডিসপিউটেড (বিতর্কিত) হওয়ায় কোন সঠিক তথ্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তবে কভিড-১৯ শুরু হওয়ার আগে বিষয়টি আমি উপাচার্যকে জানাই। যেহেতু সহযোগী অধ্যাপক পর্যন্ত ড. সেলিম  জ্যৈষ্ঠ ছিলেন তাই  চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডে নেওয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো.দিদার উল আলম বলেন, ড. সেলিমকে ডীন এবং চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে গেছেন। আমি তো দেয়নি। আর ড. সেলিম সিনিয়র ছিলো বলেই তো তাকে ডীন এবং চেয়ারম্যানশীপ দেওয়া হয়েছিলো। এখন আমি তাকে কোন আইনে ডীন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ড. শফিককে ডীন পদ দিবো?  ড. শফিক যদি সিনিয়র হয়ে থাকেন তাহলে ঔসময় কেন তিনি প্রতিবাদ করেননি কিংবা কোন ব্যবস্থা নেননি।

 

প্রজন্মনিউজ২৪/ফাহাদ হোসেন/মুজাহিদ

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ