নির্নমাণজটে কুবি’র শেখ হাসিনা ছাত্রী হল

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ১১:২১:৫৩

নির্নমাণজটে কুবি’র শেখ হাসিনা ছাত্রী হল

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি সময় পার করলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি জেবিসিএ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।যার ফলে ছাত্রীদের  আবাসন সংকট থেকেই যাচ্ছে।

২০১৭ সালের মার্চ মাসে টেন্ডার আহ্বান করে আবদুর রাজ্জাক জেবিসিএ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পটির কাজ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।প্রকল্পে ১৮ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ৪৩ মাস সময় পার করলেও প্রকল্প হস্তান্তর করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এখন পর্যন্ত ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন করলেও বাকি রয়ে গেছে ভবেনর প্লাস্টার কাজ,জানালা এবং ভবনের তিন তলার কাজ সম্পন্ন হলেও সেটি অপূর্ণাঙ্গ।পাশাপাশি যে পরিমাণ শ্রমিক দরকার তার বিপরীতে হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে খুড়িয়ে চলছে প্রকল্পের কাজ।এমনকি শ্রমিকের অভাবে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকতে দেখা যায় নির্মাণ কাজ।তবে বিলম্বিত হওয়ার জন্য উল্টো প্রশাসনের ওপরই দায় চাপাচ্ছে তদারক জাহাঙ্গীর আলম।

শিক্ষার্থীদের দাবি,প্রশাসনের সুষ্ঠ তদারকি এবং দক্ষ জনবলের অভাবে আর স্বল্প পরিমাণে শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি হচ্ছে না।কিন্তু এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।বরং বিভিন্ন মেয়াদে কয়েক ধাপ সময় বৃদ্ধি করেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখাতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যার কারণে ছাত্রীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট থেকেই যাচ্ছে।

এই বিষয়ে প্রকল্পের তদারক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,এই প্রকল্পের মধ্যে আমরা অনেক অভ্যন্তরিণ কাজ করেছি।যা পাশ হতে ও বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লেগে যায়।তাছাড়া নকশা পরিবর্তন এবং বাউন্ডারি দেয়ালের কাজ বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছে।এর মধ্যে করোনার কারণে কাজ বন্ধ ছিল।তবে আশা করি আগামী জানুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ আবু তাহের বলেন,শেখ হাসিনা হলের কাজ নিয়ে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কয়েক ধাপে কথা বলেছি। তারা বিভিন্ন মেয়াদে সময় বৃদ্ধি করলেও কাজের যথাযথ অগ্রগতি দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে।এর মধ্যে আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানাও করেছি।তবে সর্বোপরি এখন আমাদের লক্ষ্য হল যে কোন উপায়ে কাজ বুঝে নেয়া।তাদের সাথে কথা হয়েছে,আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

প্রজন্মনিউজ২৪/মুজাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ