আগামী ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মানের মহানায়ক হচ্ছেন ভাসানী। মওলানা ভাসানী ছাড়া বাংলাদেশ হতে পারে না। পাশাপাশি, আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ন্যাপের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের দেশে প্রাণ-প্রকৃতি, মানুষের অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আজকে যত ধরনের সঙ্কট ও উদ্বেগ রয়েছে, তা থেকে বাঁচার লড়াইয়ের দিশা ও নেতৃত্ব হতে পারেন মওলানা ভাসানী। দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের ক্যান্সারে ক্ষত-বিক্ষত এই সময়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

তারা বলেন, মাওলানা ভাসানী অত্যাচার, লুটপাট, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভুখা মিছিল করেছিলেন। ভাসানী বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তাঁর জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। রাজশাহী অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া এই পদ্মার পানি রক্ষার জন্য তিনি লড়াই করে গেছেন। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত লংমার্চ করেছিলেন।

ন্যাপের দুই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, মওলানা ভাসানী বলতেন, এই নদীতে কেবল মানুষেরই অধিকার নয়, এটা পশুপাখি, সাপ-ব্যাঙ সব প্রাণের অধিকার আছে। তার মানে শুধু মানুষের কথা ভাবলেই চলবে না। প্রাণ-প্রকৃতি সবকিছু যে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রথম ভেবেছিলেন মওলানা ভাসানী।

মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঘোষিত ২ দিনের কর্মসূচি সফল করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রজন্মনিউজ২৪/ হোসাইন নূর