দৃষ্টিকটুতে কুবির বঙ্গবন্ধু হল

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৩৮:০৭

দৃষ্টিকটুতে কুবির বঙ্গবন্ধু হল

সাইফুল ইসলাম, কুবি প্রতিনিধিঃ  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত অংশ  অপরিকল্পিত নকশায় দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছে সম্পূর্ণ হল।

২০১৬ সালের মে মাসে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলী আশরাফের সময় কাজ আরম্ভ হওয়া হলটির প্রধান ফটকের সামনে  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, খেলার মাঠ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। 

আবার একইপাশে বসানো হয়েছে সম্প্রসারিত অংশের টয়লেটএবং গোসলখানাসমূহ। ফলে এ রাস্তায় গমনকারীদের প্রথম দৃষ্টি পড়ে হলের গোসলখানা এবং টয়লেটের দিকে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। 

বঙ্গবন্ধু হলের বাসিন্দা লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সুন্দর হওয়ায় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিভিন্ন সময়ে দর্শনার্থীরা এ ক্যাম্পাসে ভিড় করেন।

কিন্তু এ পাশ দিয়ে আসা-যাওয়ার সময় যে কোনো দর্শনার্থী হলের দিকে তাকালে প্রথমে তাদের চোখে বাঁধবে হলের শৌচাগারসমূহ। এমনকি ছেলেদের হল হওয়ায় সেটি আরও বেশি বিব্রতকর হতে পারে।

তবে অদক্ষতা এবং অপরিকল্পনার অভিযোগ দীর্ঘ হলেও সেটির দায়ভার নিতে রাজি নয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেউই।এমনকি বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক এবং বর্তমান পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, 'হলের দু পাশে পাহাড় এবং অপর পাশে সংযুক্তি থাকায় ডিজাইন অন্য কোনো পদ্ধতিতে করা সম্ভব ছিল না। তবে এর জন্য কোনও ধরনের বাড়তি সমস্যাও সৃষ্টি হবে না।'

বর্তমান ঠিকাদার মিলন হোসেন বলেন, "আমদেরকে প্রকল্পের যে নকশা দেয়া হয়। মূলত তা নিয়ে আমরা কাজ করি। সম্প্রসারিত অংশে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেক কিছু সংযুক্ত করেছি যা মূল নকশায় ছিল না। 

সর্বোপরি আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে কোন কাজ করিনি। সুতরাং এ সমস্যার বিষয়ে পরিকল্পনা দপ্তর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর ভালো বলতে পারবে।" এমনটা কেন হলো?

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এমরান কবির চৌধুরী বলেন, 'ভবনের নকশা যখন করা হয় তখন আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলাম না। সে সময়কার যারা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিল তারা এ বিষয়ে বলতে পারবে। তবে ভবনের নকশা আধুনিক নকশার সাথে সামঞ্জস্য নয়।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পেশাদার ডিজাইনারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, 'আধুনিককালের ভবনের স্ট্রাকচারের সাথে এই স্ট্রাকচার মোটেই উপযুক্ত নয়। ভবনের ডিজাইনিংয়ের সময় কতৃপক্ষকে আরো সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। 

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ধারনার সাথে এই ডিজাইন কোনোভাবেই মিলানো যায় না। কতৃপক্ষকে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।


প্র্রজন্মনিউজ২৪/সাখাওয়াত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ