রক্ষীবাহিনীর অধিকাংশই বাংলাদেশী নয় ভিনদেশি : গয়েশ্বর চন্দ্র

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০৫:৫০:১০

রক্ষীবাহিনীর অধিকাংশই বাংলাদেশী নয় ভিনদেশি : গয়েশ্বর চন্দ্র

বুধবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘রক্ষীবাহিনীর অধিকাংশই বাংলাদেশী নয় তারা ছিল ভিনদেশি।’

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আমি নিজে রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সামনাসামনি অনেক যুদ্ধ করেছি। তাদের কথাবার্তা বা আচরণে মনে হয়নি, তারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী কেউ। রক্ষীবাহিনীর অধিকাংশ সদস্য ছিল ভিনদেশি। কোন দেশি তা আমরা জানি না, তবে ভিনদেশি।’

‘আওয়াজ বা চিৎকারেও কিন্তু মানুষের পরিচয় বোঝা যায় যে সে সিলেটের নাকি বরিশালের। আমরা যেহেতু তৎকালীন সম্মুখযুদ্ধ করেছি, সে কারণেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, রক্ষীবাহিনীতে ভিনদেশি লোকও আছে।’

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতা বলেন, আজকে আমাদের বিশাল সেনাবাহিনী আছে, বর্ডার গার্ড আছে। প্রতিদিন সীমান্তে গুলির শব্দ আসে একপাশ থেকে। আমাদের দিক থেকে গুলি করা হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা গুলি ছুড়বো না। তাহলে আমরা বিদেশ থেকে এত অস্ত্র-শস্ত্র কিনি কেন? আমাদের নাগরিকদের মারছে, বর্ডার কিলিং হচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ নেই। এখন আমাদের যে সীমানা আছে সেখানে তো গার্ড থাকার দরকার নেই। কয়েকজন চৌকিদার হারিকেন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেই পারেন। তারা দেশের ভেতরে ঢুকে যাকে খুশি তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে, গুলি করে হত্যা করতে পারে। তবে আজকে আধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে আমরা কী করি? সেনাবাহিনীর ট্রেনিংটাই হলো সীমান্তের ওপারে গুলি করা। কিন্তু আমরা পণ করেছি সেটা করবো না। সেই মানসিকতাটাই আমরা হারিয়ে ফেলেছি।

তিনি বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা হলো, পুরো দেশে প্রতিবাদ হলো। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান গেলেন, পুলিশপ্রধান গেলেন, আসামিরাও গ্রেফতার হলো। একটু খবর নিয়ে দেখেন, আসামিরা এখন জেলখানায় আছে কি-না? কোনো খোঁজখবর নেই। হয়তো পরবর্তী হাজিরার সময় বোঝা যাবে, আদালতে হাজির করতে পারবে কি পারবে না। তাহলে আমরা কোথায় আছি? আমরা শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে আসলাম, কিন্তু আরেক শৃঙ্খলে আবদ্ধ হলাম আজীবনের জন্য।

জামায়াতের প্রশ্নে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জামায়াত জামায়াত বলে। জামায়াত যদি দেশের গণতন্ত্রের পরিপন্থী হয় তাহলে তারা (সরকার) জামায়াতকে ব্যানড করে না কেন? ভারতেও তো জামায়াত আছে, তারা ব্যানড করে না কেন? আসলে এটা শুধু একটা পলিটিক্যাল চাল।

আলোচনা সভায় আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাইয়েদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

প্রজন্মনিউজ২৪/ হোসাইন নূর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ