নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট

বাইডেন বিভিন্ন সময় খেলার মাঠেও

প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২০ ০১:১৪:৪০

বাইডেন বিভিন্ন সময় খেলার মাঠেও

সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র। সবার কাছে জো বাইডেন নামেই পরিচিত তিনি। ৫৯তম প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে নব-নির্বাচিত এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। বর্তমান সময়ের তুখোড় এই রাজনীতিবিদ ছোটবেলা থেকেই ছিলেন একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। নানা ক্ষেত্রে নিজের ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন তিনি।

ছোটবেলা থেকেই অন্যদের তুলনায় ভালো দৌড়াতে পারতেন বাইডেন। ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের আর্চমিয়ার অ্যাকাডেমি নামের একটি বেসরকারি স্কুলে ছাত্রজীবন শুরু করেন তিনি। সেই স্কুলের ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন জো। ১৯৬০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উইলমিংটনের অন্যতম প্রধান সংবাদপত্র দ্য নিউজ জার্নাল আর্চমিয়ার ফুটবল দলের পারফরম্যান্স নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে জো বাইডেন সম্পর্কে লেখা হয়, ‘তিনি দলের সেরা পাস রিসিভারদের একজন।’

১৯৬০ সালে আর্চমিয়ার ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন ই জন ওয়ালশ। তিনি যখন দলের দায়িত্ব নেন, তার আগের মৌসুমে আর্চমিয়ার ছয় ম্যাচে হারের বিপরীতে জিতেছিল স্রেফ একটি ম্যাচ। এমনকি ১৯৪৮ সালের পর থেকে কোনো মৌসুমেই দুটির বেশি ম্যাচ জেতেনি তারা।

দুর্বল আর্চমিয়ার দলের লেফট হাফব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করেন বাইডেন। সেই মৌসুমে আর্চমিয়ার চমকে দেয় সবাইকে। আট ম্যাচের সবগুলোতেই জিতে ঘরে তোলে কনফারেন্স শিরোপা। আর এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এমনকি কনফারেন্স টুর্নামেন্টে মোট ২৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতার পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোরার হন জো। নন-কনফারেন্স ম্যাচগুলো হিসেব করলে ওই মৌসুমে বাইডেনের পয়েন্ট ছিল ৬০-এর অধিক। যা সম্পূর্ণ ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের অন্যতম সর্বোচ্চ ছিল। ২০১২ সালের মে মাসে ডেলাওয়্যার স্পোর্টস হল অব ফেমে বাইডেনের স্কুল কোচ ওয়ালশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেদিন গুরুকে সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাইডেনও।

দ্য নিউজ জার্নাল জানিয়েছে, ফুটবলের পাশাপাশি আর্চমিয়ার বেসবল দলেরও একজন সদস্য ছিলেন বাইডেন। এখানে তিনি আউটফিল্ডে খেলতেন এবং ব্যাট করতেন লাইন আপের শেষার্ধে।

স্কুল জীবনেই বাইডেনের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন তিনি। সেসময় খেলাধুলার কারণে তার পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছিল না। ভালো ছিল না জিপিএর অবস্থাও। এ সময় বাইডেন বাবা-মাকে কথা দেন, তিনি সিলেবাসের পড়ায় মনোনিবেশ করবেন।

পড়াশোনায় পুরোদমে মনোযোগ দিলেও খেলাধুলার সঙ্গে বাইডেনের কখনো সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। তার ক্রীড়া দক্ষতা ও লড়াকু মানসিকতা পরবর্তীতে রাজনৈতিক জীবনেও ব্যাপক সাহায্য করেছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/হাবিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ