বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো ইউজিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, ২০১৩ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ন্যায্য হারে কোটা সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ নভেম্বর প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ন্যায্য হারে কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে ইউজিসির যুগ্ম সচিব জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত পত্র দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।

ইউজিসি জানায়, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আফিয়া কবির আনিলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হচ্ছিল না। পরে ইউজিসির সহায়তায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। আনিলার মতো কাউকে যেন বঞ্চিত করা না হয়, সব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী যেন ন্যায্য অধিকার পান সেই আহ্বান জানানো হচ্ছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভর্তিসহ অধ্যয়নরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আইন ও বিধিমালা মেনে ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩-এর গেজেট প্রকাশিত হয়। এই আইনের ৯-এর ‘জ’ ও ‘ট’ ধারায় মেধার ভিত্তিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ন্যায্য ও কার্যকরভাবে কোটা সংরক্ষণ এবং প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী চাহিদার ভিন্নতা বিবেচনা করে তাদের সক্ষমতা নির্ধারণ করে পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।

গত জানুয়ারি মাসে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লেখা এক পত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষিত করে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার কথা জানানো হয়। পত্রে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিষয়টির সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জড়িত। কাজেই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করণীয় রয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ন্যায্য হারে কোটা সংরক্ষণসহ ভর্তির নিয়ম-কানুন শিথিল করে উচ্চ মাধ্যমিক বা এ-লেভেল পাস প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/ হোসাইন নূর