খেলোয়াড়ি জীবনে মাদকাসক্ত ছিলেন ইমরান খান : সরফরাজ নেওয়াজ

প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৪:৩২:২৭

খেলোয়াড়ি জীবনে মাদকাসক্ত ছিলেন ইমরান খান : সরফরাজ নেওয়াজ

বর্তমান সময়ে যেকোনো খেলাধুলায় ড্রাগ সেবনের বিষয়ে এসেছে অনেক বেশি কড়াকড়ি। এমনও হয় যে, কখনও কোনো অসুস্থতার জন্য বিশেষ কোনো ওষুধ সেবন করলে, সেটিও ধরা পড়ে যায় ডোপ টেস্টে। ফলে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে যেকোনো ওষুধ বা শক্তিবর্ধক জাতীয় যেকোনো কিছু সেবনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে ছিল না এত কড়াকড়ি। তখনও ডোপ টেস্ট থাকলেও, সেটি ছিল অনেকটা না থাকার মতোই। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন পাকিস্তানের একমাত্র ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর আসনে থাকা ইমরান খান- এমনটাই অভিযোগ করেছেন ইমরানের সতীর্থ পেসার সরফরাজ নেওয়াজ।

সত্তর ও আশির দশকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বোলিং লাইনআপের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন ইমরান ও সরফরাজই। ফলে সতীর্থ পেসারের সকল কার্যক্রম কাছ থেকেই দেখেছেন সরফরাজ। তার মতে, শুধু পাকিস্তানে নয়, লন্ডনে গিয়েও নিয়মিত ড্রাগ সেবন করতেন ইমরান। এক ইউটিউব শো’তে এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন সরফরাজ।

তিনি জানিয়েছেন, একবার ইংল্যান্ড সফরে ভাল করতে পারছিলেন না ইমরান। তাই পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য ড্রাগ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া যখন ইসলামাবাদে নিজ বাড়িতে থাকতেন ইমরান, তখন প্রতি বেলায় খাবারের পর চারাস (একপ্রকার গাজা) সেবন করতেন, এমনটাই অভিযোগ সরফরাজ।

তার ভাষ্য, ‘গাজা সেবন ছিল ইমরানের নিয়মিত ব্যাপার। যা সে লন্ডনেও করত। এমনকি আমার বাড়িতেও করেছে। ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে সে ভাল করতে পারেনি। একবার সে মহসিন খান, আব্দুল কাদির ও সেলিম মালিককে নিয়ে আমার ইসলামাবাদের বাড়িতে খেতে আসে। খাবারের পর সে চারাস সেবন করেছিল।’

এসময় ইমরানের বিরুদ্ধে কোকেইন সেবনের অভিযোগ এনে সরফরাজ আরও বলেন, ‘এছাড়া সে (ইমরান) নাক দিয়ে একজাতীয় দ্রব সেবন করত। এমনকি কোকেইনও নিতো নিয়মিত। লন্ডনে সে কিছু একটা রোল করতো এবং নাক দিয়ে ভেতরে নিয়ে নিতো।’

এমন অভিযোগের পক্ষে আরও সাক্ষী পাওয়া যাবে জানিয়েছেন তিনি বলেন, ‘ইমরানকে আমার সামনে আনুন। দেখি সে কীভাবে এটি অস্বীকার করতে পারে। আমিই শুধু চাক্ষুষ প্রমাণ নই। লন্ডনে আরও অনেককেই পাওয়া যাবে, যারা তাকে ড্রাগ সেবন করতে দেখেছে।’

পাকিস্তান ক্রিকেটে ইমরান খানের প্রভাব অনেক বেশি। ১৯৯২ সালে তার অধীনে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে রীতিমতো দেশটির অবিসংবাদিত নায়কে পরিণত হয়েছেন এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তুমুল জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের সবশেষ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৫০ উইকেট নেয়া এ ক্রিকেটার। এখন দেখার বিষয়, তার বিরুদ্ধে আসা এ অভিযোগের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/ফরিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ