প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০৬:৫৩:১৪
শুক্রবার দাফন করার ঠিক আগ মুহূর্তে জীবিত উদ্ধার নবজাতক মরিয়ম এখন নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন। আগের চেয়ে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয়। ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে প্রতিটি মুহূর্ত। তবে চিকিৎসরা আশাবাদী। তারা বলেছেন, শিশুটি অপরিণত। ওজন এক কেজিরও কম হওয়ায় অনেক কিছুরই ডেভেলপমেন্ট হয়নি।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নবজাতকটি জন্মের পর কোনো কান্নাকাটি ও নড়াচড়া করেনি। চিকিৎসকরা হার্টবিটও পাচ্ছিলেন না। অনেক চেষ্টাতেও রেসপন্স পাচ্ছিলেন না। তারপর তারা অক্সিজেন দিয়েও রাখেন। এরপর মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় ও নবজাতকের বাবা তাকে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি মিরাকল। তবে মেডিক্যাল সায়েন্সে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক জায়গাতেই ঘটেছে। তবে আমরা দেখবো কারো কোনো অবহেলা ছিল কি না। এর আগেও আমাদের এখানে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ওই চিকিৎসককে আমরা ঢামেকে কাজ করতে দেইনি।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। সমস্যাটা কোথায় ছিল বের করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষে কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢামেকের নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সময় হওয়ার আগেই শিশুটির জন্ম হয়েছে। ওজন খুব কম। সেদিক থেকে ঝুঁকি আছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা চলছে। শিশুটিকে মৃত ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে বলার সময় আসেনি। আমরা দেখছি কী হয়েছিল।’
অন্যদিকে উচ্চরক্তচাপসহ বেশ কিছু শারীরিক জটিলতায় শিশুটির মা শাহিনুর বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শাহিনুরের স্বামী ইয়াসিন মোল্লা বলেন, ‘সকালে আমার মেয়ের খোঁজ নিয়েছি। তবে কাছে যেতে পারিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আমার সন্তান ভালো আছে। চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চার দিন আগে স্ত্রী শাহিনুরকে ভর্তি করান স্বামী ইয়াসিন মোল্লা। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শাহিনুর শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। তবে জন্মের পর ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরে ওই নবজাতককে তার বাবা ইয়াসিন দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। কবরস্থানের লোকজন দাফন করার জন্য এক হাজার ৪শ’ টাকা দাবি করে। সঙ্গে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নবজাতককে বসিলা কবরস্থানে নিয়ে যান ইয়াসিন। সেখানে দাফনের আগমুহূর্তে নবজাতকটি নড়ে ওঠে। পরে দ্রুত আবার ঢামেকে আসেন ইয়াসিন।
প্রজন্মনিউজ/মেহেদী
খুবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
ধুনটে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
ট্রাকচাপায় একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যু
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ হবে
চাঞ্চল্যকর মামলার আপিল শুনানিতে গতি নেই
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once