লাদাখের সীমান্তে ৩৮ হাজার বর্গকিমি. এলাকা দখল করেছে চীন

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০২:৫৪:২৩

লাদাখের সীমান্তে ৩৮ হাজার বর্গকিমি. এলাকা দখল করেছে চীন

লাদাখ সীমান্তে ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে চীন। এখন অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে তারা।

লাদাখে চীনাবাহিনীর ভূখণ্ড দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় প্রথমবারের মতো মুখ খুলে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই সঙ্গে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। লাদাখে ভারত ও চীনের চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাজনাথ বলেন, ‘সীমান্তে আমাদের সেনা

পাহারা অব্যাহত রাখতে হবে। আসন্ন শীতকালেও লাদাখে সেনা মোতায়েন রাখতে হবে। কারণ এখনও চীন বে-আইনিভাবে প্রায় ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে। তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার শর্ত মানছে না।

তারা অব্যাহতভাবে প্ররোচণামূলক আচরণ করে চলেছে।’ চীনকে হুশিয়ারি দিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসব হঠকারী কার্যকলাপ ভারত বরদাশত করবে না। আমরা যুদ্ধ শুরু করতে পারি, শেষ কিন্তু আমাদের হাতে থাকবে না।’

তবে শান্তি বজায় রাখার জন্য ভারত এখনও চীনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী বলেও জানান রাজনাথ।

চীন ভারতের কতটুকু এলাকা দখলে নিয়েছে- গত কয়েক মাস ধরেই বারবার বিরোধীদের এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। কয়েকদিন আগেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, ছয় মাসে ভারতে কোনো চীনা অনুপ্রবেশ হয়নি।

তবে এদিন রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ জানালেন, চীন ভারতের ৩৮০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে রেখেছে এবং ৬ মাস আগে থেকেই এই এলাকা চীনা বাহিনীর দখলে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে গত মঙ্গলবারও সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় লাদাখ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে রাজনাথ সিং ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, লাদাখের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রয়েছে চীন।

১৯৬৩ সালের চীন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তিতে পাকিস্তান বেআইনিভাবে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের পাঁচ হাজার ১৮০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড চীনের হাতে তুলে দিয়েছে।

কৃষি বিল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে- মোদি : কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের বিলকে ‘কৃষকবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার খাদ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পাঞ্জাবের অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর বাদল।

শুক্রবার সেই বিলের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে দিলেন, ‘ঐতিহাসিক এই বিল কৃষকদের রক্ষাকবচ।’ একটি শক্তি কৃষি বিল নিয়ে চাষীদের বিভ্রান্ত করছে অভিযোগ তুলে তার মন্তব্য, ‘কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে আমার সরকার দায়বদ্ধ।’

বিহারে কোশী নদীর একটি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল সভায় মোদি বলেন, ‘নানা ভুল তথ্য ও পরিসংখ্যান পেশ করে কৃষকদের উসকে দেয়ার চেষ্টা চলছে। বলা হচ্ছে, তারা নাকি ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন না! কিন্তু যারা এটা করছেন, তারা ভুলে যাচ্ছেন, আমাদের কৃষকেরা অনেক সচেতন।’

লকডাউনের পরিস্থিতির মধ্যেই গত জুন মাসে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার সংক্রান্ত তিনটি অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করেছিল মোদি সরকার। বিজেপি চাইছে, সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনেই ওই তিনটি বিল পাস করাতে।

কিন্তু কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ, তিনটি বিলই ‘কৃষকবিরোধী’। সেগুলোতে কৃষকদের স্বার্থ না দেখে শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। পাশাপাশি, কৃষিপণ্য কেনায় সরকারে ভূমিকাও কমানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে একই কথা বলেছেন বিজেপির সবচেয়ে পুরনো সহযোগী দলের নেত্রী হরসিমরত। তার পদত্যাগের পর থেকেই পাঞ্জাবসহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও চরম আকার ধারণ করেছে।


হরিয়ানায় বিজেপি জোটের সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জেজেপির প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালাও বিলের সমালোচনা করেছেন। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে কৃষি বিলের বিরোধিতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধীরা।


প্রজন্মনিউজ২৪/সাখাওয়াত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ