উদ্বোধনের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৬:০৫:০১

উদ্বোধনের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স

রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের বাইরে এবার বগুড়ায় তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক মাল্টিপ্লেক্স। ঐতিহ্যবাহী মধুবন হল এখন রূপ নিয়েছে মধুবন সিনেপ্লেক্সে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উত্তরবঙ্গের মানুষরা নিজেদের এলাকায় বসে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহের সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।

জানা যায়, করোনাতে হলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলেই নতুন এ মাল্টিপ্লেক্সটি উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করা হবে।
বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউন নিশ্চিত করেছেন সিনেপ্লেক্সটির পরিচালক শায়েখুজ্জামান মোহাম্মদ ইউনুস।
তিনি জানান, একটি স্ক্রিনের কাজ শেষ। প্রজেক্টর স্থাপন করলেই এটি চালু করা যাবে। এছাড়া অপর একটি স্ক্রিনের কাজ দ্রুতই শুরু হবে।

‘বংশ পরম্পরায় আমরা হলটি দেখভাল করছি। আমার দাদা ১৯৪৭ সালে এটি স্থাপন করেন। এরপর আমার বাবা এটি পরিচালনা করেছেন। তিনি এখনও এর চেয়ারম্যান। আমি ও আমার দুই ভাই এটি এখন দেখভাল করছি। এর আগে হলের সিট সংখ্যা ছিল ৮৮৯টি। সিনেপ্লেক্সে আমরা এটি ৩৪০-এ রেখেছি। কারণ ভেতরে গ্যালারি তৈরি করেছি। আমরা চাই, বিশ্বের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এখানকার দর্শকরা পান।’ কথাগুলো বলছিলেন শায়েখুজ্জামান।

২০১৫ সালে শাকিব খানের ‘লাভ ম্যারেজ’ ছবি প্রদর্শনের সময় এই হল পরিচালক বুঝতে পারেন সিনেমা হলের দর্শক এখনও আছে। ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ প্রদর্শনের সময় শায়েখুজ্জামান কিছুটা লজ্জায় পড়ে যান। কারণ নোংরা পরিবেশ, ভাঙা চেয়ার, গরমের মধ্যেও যে পরিমাণে দর্শক হলে আসছে তিনি কল্পনাও করেননি। বিশেষ করে শিক্ষিত শ্রেণির দর্শক দেখে তিনি মুগ্ধ হন। এরপর আলোচনা ও পরিকল্পনা শেষে ২০১৭ সালে হলটি মাল্টিপ্লেক্সে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়।

হলের এই স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে অবিরত হলের কাজ চলেছে। আসন, গ্যালারি, লবি- সবই নতুন করে তৈরি করা। আমরা মুম্বাই থেকে স্ক্রিন এনেছি। এখন যে সাউন্ড সিস্টেম আছে তা দিয়ে বাংলা ছবি চালানো সম্ভব। কিন্তু আমরা হলিউড মানের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করব। এটি নতুন করে বসানো হবে। এছাড়া প্রোজেক্টরটি স্থাপন করলেই মধুবন সিনেপ্লেক্স বিশ্বের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহের রূপ পাবে। এগুলো করতে বেশি সময় লাগবে না। করোনা মহামারির পর প্রেক্ষাগৃহ খোলার একটি ঘোষণা আসবে। আমরা এর মধ্যেই কাজগুলো করে ফেলব। আশা করি, এক মাসের মধ্যেই মাল্টিপ্লেক্সটি উদ্বোধন হবে।’

জানান, হলের টিকিট মূল্য নির্ভর করবে চলচ্চিত্রের ওপর। ৬০ শতাংশ বাংলা ছবির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ছবিগুলো এখানে প্রদর্শনের ইচ্ছে মধুবন কর্তৃপক্ষের।

প্রজন্মনিউজ/এম.এইচ.টি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন