কুড়িগ্রামে বিপদ: নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০১:০৮:৩২

কুড়িগ্রামে বিপদ: নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ও অবিরাম বর্ষণে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত তিন দিন যাবত এসব নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চতুর্থ দফা বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ধরলা নদীর পানি সদরের সেতু পয়েন্টে অনেক বেড়ে এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা ও ধরলাসহ সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও ধরলা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে।সেইসাথে ধরলার পানি এখন বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা নদীর পানি বাড়লেও তা এখনও বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।একারনে ধরলাসহ সবগুলো নদ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চলের সদ্য রোপনকৃত আমন ধানসহ নানা ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড.মুস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানিয়েছেন, ধরলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় প্রায় দেড় শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমনসহ ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। পানি স্থায়ী হলে এসব ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে জানান তিনি। পানি বৃদ্ধির ফলে নদনদী অববাহিকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্লাবিত হয়ে পড়েছে।  
 
অপরদিকে, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ পানির প্রবল স্রোতে নতুন করে ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৫ হাজার মানুষ। এসব এলাকার মানুষজন এখন ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, উজানের বৃষ্টির পানির কারনে জেলার সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মারাত্মক বন্যার আশংকা নেই বলে তিনি জানান, দ্রুত পানি কমতে শুরু করবে এবং পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/সাখাওয়াত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ