জলবায়ু পরিবর্তনে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে


‘পরিবেশের শোষণ: মহামারী ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মূল কারণ’ শিরোনামে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ ইকোনমিকস সামিট’-এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেশন চেয়ার হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ। এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

পরিবেশ শোষণ করে সভ্যতার অগ্রগতি নিশ্চিত করা বনাম পরিবেশের সঙ্গে মানবসভ্যতার সহাবস্থানের মাধ্যমে সভ্যতা ও প্রকৃতি টিকিয়ে রাখা—এ দুই মতবাদ তুলে ধরার মাধ্যমে অধ্যাপক এমএম আকাশ আলোচনা শুরু করেন।
প্রথমেই বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এনামুল হক। পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ আন্দোলনের ভূমিকা তুলে ধরার মাধ্যমে তিনি বলেন, আমাদের পরিবেশের বর্তমান দুরবস্থার জন্য পলিসির ব্যর্থতা অনেকাংশে দায়ী। ১৯৯৭ সালে প্রণীত পরিবেশ রক্ষা আইনের দুর্বলতা ও সমস্যা, পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তব্য এবং জনসাধারণের দায়িত্ব তিনি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বায়ুদূষণের প্রাদুর্ভাবের ওপর করোনা সংক্রমণের হার নির্ভরশীল। তিনি স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধান, কার্যকর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ লোভ-লালসার কারণে পরিবেশের ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিপন্ন করছে। নদী দখল, পাহাড় দখল, বনভূমি ধ্বংস জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত করছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। এছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রার কথা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিকভাবে কার্বন নিঃসরণ গড়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কম, তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে এটি ৯ শতাংশ হ্রাস করা প্রয়োজন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, জলবায়ুু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এর সমাধান করতে হবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

প্রজন্মনিউজ২৪/হাবিব