সরকারী চাকরিতে আবেদনের সময় ৫ বাড়ল মাস


মহামারী করোনভাইরাসোর কারণে এবার সরকারী চাকরিতে বয়সের ছাড় আসছে। এ বছর ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের আগামী ৫ মাস পর্যন্ত সরকারী চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। করোনার কারণে যাদের এ বছর ২৫ মার্চ বয়সসীমা শেষ হয়েছে তারা আগামী ৫ মাস পর্যন্ত চাকরিতে আবেদন জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারী চাকরি প্রত্যাশীদের এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে বন্ধের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি। অনেকের চাকরির বয়স এই সময়ের মধ্যে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে তারা পাঁচ মাসের বয়সের একটা ছাড় পাবেন। আগস্ট পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন তারা। ২৬ মার্চের পর মার্চ-এপ্রিল- মে-জুন-জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত যেসব মন্ত্রণালয় চাকরির জন্য তাদের বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা ছিল; কিন্তু দিতে পারেনি তারা আগস্টের পর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে প্রার্থী যারা থাকবে তাদের জন্য আবেদন চাইবে যে ২৫ মার্চ তাদের বয়স ৩০ বছর হতে হবে। এটুকু দিলে তারা কনসেশনটা পেয়ে গেল।

তিনি বলেন, আবেদনকারীদের জন্য এ সুবিধা গত আগস্ট মাস পর্যন্ত থাকবে। আগস্টের পর তো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে যে বিজ্ঞপ্তিগুলো যাচ্ছে ২৫ মার্চ তার ৩০ বছর হয়ে যাবে। তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না। সরকারী চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, চাকরির বয়স যেটা আছে সেটাই থাকবে। শুধু যেহেতু কোভিড সংক্রমণের কারণে ওই সময়টায় ২৬ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে, ২৫ মার্চ বয়স ৩০ বছর হতে হবে। এটা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হবে। তাতে যাদের বয়স পার হয়ে গেছে তারাও আবেদনটা করতে পারবে। সরকারী সব মন্ত্রণালয়, দফতর, সংস্থা, অধিদফতর যেখানে চাকরির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা ছিল তাদের সবার জন্য এটা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।

বর্তমানে সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে সরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারী দফতরের।

মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। পরে এ ব্যবস্থা তিন দফায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার বাড়তে থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি সরকারী কর্মকমিশন (পিএসসি)। তার আগে গত ডিসেম্বর থেকে চাকরিতে নিয়োগের নতুন কোন বিজ্ঞপ্তি দেয়নি কমিশন। তবে ৩০ মে সাধারণ ছুটি শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে নন-ক্যাডারে কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ বছর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে গত ১ জুন পর্যন্ত।

প্রজন্মনিউজ২৪/হাবিব