মাথার সেলাই কাটা হয়েছে ইউএনও ওয়াহিদার, ডান হাত নাড়ছেন

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৩:১৩:২৪

মাথার সেলাই কাটা হয়েছে ইউএনও ওয়াহিদার, ডান হাত নাড়ছেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:

ঢাকা: ‘রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের মাথায় অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটা হয়েছে। তার শরীরের অবশ থাকা ডান পাশেরও উন্নতি হয়েছে। তিনি ডান হাতের কনুই পর্যন্ত তুলতে ও নাড়তে পারছেন তবে, তিনি এখনও ডান পা নাড়াতে পারছেন না। ’


শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান ও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন।

নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান জাহেদ হোসেন বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় যে অপারেশন করা হয়েছিল, সেখানকার সেলাইগুলো আমরা আজ কেটেছি। অপারেশনের জায়গাগুলো এখন ভালো আছে।

ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ধারা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে জাহেদ হোসেন বলেন, তার অবশ ডান হাতের কনুই পর্যন্ত অংশের উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নতির জন্য এখানে দিনে তিন-চারবার তার ফিজিওথেরাপি চলছে।

ইউএনও চাহিদাকে শঙ্কামুক্ত বলা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে অনেকটা আশঙ্কামুক্ত বলা যায়। তবে হাসপাতালে থাকা রোগীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে শঙ্কামুক্ত বলি না। কারণ যেহেতু একটা রোগী হাসপাতালে থাকেন, যেকোনো সময় তার যেকোনো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তবে, আমি বলতে পারি তিনি ভালো আছেন। তার স্বাস্থ্যগত আর কোনো জটিলতা নেই। তার শুধু উন্নতির অবশিষ্ট রয়েছে শুধু ডান হাত ও ডান পা। মোটামুটি তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। যেহেতু তার ফিজিওথেরাপি চলছে সেহেতু তাকে আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও তার সব ধরনের খাবার অ্যালাও করিনি। তবে তিনি সলিড খাবার খাচ্ছেন। তার ব্লাড প্রেসার, সেন্স স্বাভাবিক রয়েছে।

ওয়াহিদাকে বেডে স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, আমরা এখনও তাকে বেডে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত কেবিনে স্থানান্তর করছি না কারণ তাকে কেবিনে স্থানান্তরের পর অনেক বেশি ভিজিটর এখানে ভিড় করবেন। সেক্ষেত্রে তার ইনফেকশনের শঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য আমরা তার শারীরিক অবস্থা বুঝে আরও দুই-একদিন পরে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রজন্মনিউজ/এম.এইচ.টি

এ সম্পর্কিত খবর

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি: কাদের

অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষকের জনজীবন

তীব্র গরমের মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ