কোয়ার্টারের আগে করোনার হানা অ্যাতলেটিকো শিবিরে


 

নানা ঘটনায় এগিয়ে চলছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। লিগ থেকে একে একে ছিটকে পড়ছে পরাশক্তি দলগুলো। বাদ পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল, য়্যুভেন্তাসের মতো দলগুলো। শীর্ষ আটে প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো বড় দুটি দল। স্বাভাবিকভাবে এখান থেকেও বাদ পড়বে একটি পরাশক্তি দল।

 

তবে একটু একটু করে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বুঁদ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। কিন্তু পথটা তো অতো সহজ নয়। সে পথে প্রতিপক্ষ এখন করোনা। শীর্ষ আটের লড়াইয়ে লিসবন যাত্রার আগেই দুঃসংবাদ এলো কোয়ার্টার ফাইনালের অন্যতম সেরা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ (এটিএম) শিবিরে। লিসবনে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে তাদের দলের দুই খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে এ খবর।

 

তবে কোন দুই খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত, তা স্পষ্ট করে জানায়নি এটিএম ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দুই খেলোয়াড়কেই সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কিন্তু ক্লাবের অন্য ফুটবলারদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা শিগগিরই জানানো হবে। কেননা বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই।

 

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ক্লাব জানায়, 'গত আট তারিখ (শনিবার) চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য লিসবনে যাওয়ার আগে উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী সিউদাদ দেপোর্তিভা দে মাহাদাহোন্দাতে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষাতেই দু'জনের দেহে ধরা পড়ে করোনার অস্তিত্ব। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।'

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দুই খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে। এছাড়া বাকিদের লিসবন যাওয়ার আগে আবার পিসিআর টেস্ট করানো হবে। আর দু'জন আক্রান্তের কারণে অনুশীলন শিডিউল, লিসবনে থাকার জায়গা, ও যাত্রাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা হবে।'

 

গত ২০ জুলাইয়ের পর থেকে আর কোনো ম্যাচ খেলেনি অ্যাতলেটিকো। স্প্যানিশ লা লিগায় নিজেদের শেষ ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। চলতি সপ্তাহে ইউসিএল দিয়েই ফের মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। ১৪ আগস্ট (শুক্রবার) রাতের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মান লেইপজিগ।

প্রজন্মনিউজ২৪/জহুরুল