বিশ্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী: মার্কিন-ইউরোপ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯ অগাস্ট, ২০২০ ০৩:২৬:৪৭

বিশ্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী: মার্কিন-ইউরোপ রিপোর্ট

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন ও ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা। ‘ডিলিং উইথ দ্যা ড্রাগন: চায়না অ্যাজ এ ট্রান্স-অ্যাটল্যান্টিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত একটি সভার মন্তব্য বলে জানা গেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ১১টি দেশের অর্ধ-শতাধিক বিশেষজ্ঞ অংশ নিয়েছিল। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ক্ষমতাসীন দল আগের চেয়ে আরও দৃঢ় হয়েছেন। তারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কঠোর হচ্ছেন। পাশাপাশি তারা আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করছেন। চীনের এসব আচরণকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ভালোভাবে দেখছে না বলে জানানো হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, চীন ও আমেরিকার দ্বন্দ্বে ইউরোপ কোনো না কোনো ভাবে সমস্যায় পড়েছে। এই দেশ দুটির বিরোধে ইউরোপ কোন পক্ষে যাবে- সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন।

চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’

চীনের উদ্যোগে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইকে বলা হচ্ছে এশীয় বিশ্বায়নের কর্মসূচি। সবচেয়ে বেশি দেশ, বিপুল বিনিয়োগ এবং বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাকে জড়িত করার এ পরিকল্পনা নিয়ে এটিই একুশ শতাব্দীর বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন সুযোগের পাশাপাশি বিআরআই দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

বিআরআই দৃশ্যত যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ও করিডর প্রতিষ্ঠার প্রকল্প। সমালোচকদের মতে, তা আসলে চীনা পুঁজিবাদের বৈশ্বিক বিস্তারের পদক্ষেপ। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতির জন্য হাজির করেছে অভূতপূর্ব সম্ভাবনাও।

বিআরআইয়ের মূল চাবিশব্দ হলো কানেকটিভিটি। এর উদ্দেশ্য এশিয়াকে বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্রীয় ইঞ্জিন করে তোলা। এ পরিকল্পনায় থাকছে সমুদ্রপথে একগুচ্ছ আন্তর্জাতিক বন্দর, ভূমিতে আন্ত-সীমান্ত সড়ক, উচ্চগতির রেলপথ, বিমানবন্দর এবং ডিজিটাল যুক্ততার অবকাঠামো নির্মাণ।

চীনের এই উদ্যোগকে আমেরিকা ও ইউরোপ ভালো চোখে দেখছে না। আমেরিকার বড় চিন্তা হচ্ছে এর জিওগ্রাফিক অবস্থান নিয়ে। আর ইউরোপের লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা সেটি নিয়ে।

অবশ্য ভারতও মনে করছে চীনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তারা সার্বভৌমত্বের হুমকিতে পড়বেন।

সূত্র: দ্যা ইকোনোমিক টাইমস

এ সম্পর্কিত খবর

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ