সৌদি সামরিক জোটের বিমান হামলায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে নয় শিশু নিহত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তৃতীয়বারের মতো এমন হামলা হয়েছে। যাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিসা গ্রান্ডে শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার সড়কপথে ভ্রমণের সময় একদল মানুষের ওপর ওই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন যারা হামলার শিকার হন তাদের বেশিরভাগ ছিল নারী ও শিশু। হামলায় নয় শিশু প্রাণ হারায়।

লিসা গ্রান্ডে বিবৃতিতে বলেন, ‘হামলাটি ছিল হতবাক করার মতো এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’

যেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকাটি ইয়েমেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। হুথি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেন সরকার সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট উত্তর ইয়েমেনের জাওয়াফ প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় ছয়টি বিমান হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

হুথি বিদ্রোহীরা অবশ্য বলছে, প্রাথমিক হিসাবে হামলায় বিশ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানতে পেরেছে তারা; যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। তবে হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় সাংবাদিক ও সহায়তা কর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি থাকায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায় যায়নি।

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃবত্বাধীন সামরিক জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল-মালিকি শুক্রবার বলেন, বেসামরিক নাগরিক হত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জোট।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সারে থেকে ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক অভিযানে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা আছে।

বৃহস্পতিবারের হামলার আগে গত ১৪ জুলাই হাজ্জাহ প্রদেশে সৌদি জোটের বিমান হামলায় সাত শিশু নিহত হয়। যাদের মধ্যে অনেকের বয়স ছিল দুই বছরের কম।

এর পরদিনই উত্তরের জাওয়াফ প্রদেশে আরেকটি বিমান হামলা হয়। তাতে এক নবজাতক, ছয় শিশু ও দুজন নারীসহ ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে।